সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবনযাপনের ধারা যত আধুনিক হচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের মানসিকতা যেন বিকৃত হচ্ছে দ্রুত গতিতে। ইভ টিজিং এর সমস্যাতো আছেই, তার সাথে যুক্ত হয়েছে নির্যাতনের নানা উপায়। এর সব শেষ শিকার হল ১১ বছর বয়সী এক বালিকা এবং ১৭মাস বয়সী এক শিশু সন্তান যে চলে গেল পৃথিবীকে ভালভাবে চিনতে শেখার আগেই। শুধু যে আমাদের দেশীয়ও নারীরাই শিকার হচ্ছেন নির্যাতনের তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি মিশরেও ঘটেছে এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা।
যুদ্ধে হোক বা অশান্তিতে, প্রতিশোধে হোক বা মতবাদ প্রতিষ্ঠায় অথবা নিজের বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করতে, সব স্থানে যেন নারীরাই এইসব বিকৃত মানসিকতার প্রধান শিকার। যেন নারীকে চরমভাবে “শিক্ষা” দিলেই সম্ভাব্য বিজয় লাভ করা যায়। এমনই কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষরূপী পশুর সাম্প্রতিক শিকার হন মিশরীয় এক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী নারী।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। যাতে দেখা যায় যে ঘটনার দিন মিশরের কায়রো নগরীর এক জনবহুল রাস্তায় একদল লোকের ধাওয়ার শিকার হন এক সাথে হেঁটে নিজের গন্তব্যের দিকে যাওয়া দুই খ্রিষ্টান নারী। যাদের মাঝে একজন পালিয়ে যেতে সম্ভবপর হলেও আরেকজন পড়েন তাদের ফাঁদে। জীবন নিয়ে পালানোর চেষ্টার এক পর্যায়ে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়লে শিকার হন তাদের রোষের। তাকে টেনে এনে রাস্তার উপরে ফেলে তার উপরে হামলা করে কতিপয় ব্যক্তি। নিজেকে বাঁচাবার আকুতি মন আর্দ্র করতে পারেনা কারো।
দুঃখের বিষয় হল ভিডিওতে দেখা গেছে দিনের আলোতে কায়রো নগরীর মত বড় শহরের এক রাস্তায় এত বড় একটি ঘটনা ঘটতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। অনেককেই দেখা গেছে ঘটনার সময় তার পাশ দিয়ে হেটে যেতে। অথচ তারা সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এমনভাবে এড়িয়ে গেছেন যেন সেখানে কিছুই ঘটছিল না।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে এই বছরের এপ্রিল মাসে। এমন ঘটনা এটিই প্রথম হলেও মিশরে সাধারন মানুষদের তুলনায় কোপটিক খ্রিষ্টান বা মিশরীয় খ্রিষ্টানদের বিশেষ করে নারীদের অবস্থা বেশি নাজুক। খ্রিষ্টান নারীদের জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা সেখানে খুবি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হচ্ছে সাম্প্রতিককালে। তবে সেখানে শুধু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী নারীরাই নন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সব স্তর এবং সব ধর্মের নারীরাই।
এর আগে মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে দেশটির পক্ষ থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের এক সদস্য বলেন জাতিসংঘ প্রদত্ত নারী অধিকারের (নারীদের কাজ করা, একা ভ্রমন করা এমনকি পরিবারের পুরুষদের অনুমতি ছাড়া সংসারের খরচপাতি চালানোর অধিকার) নীতি তাদের দেশে চালু হলে তাদের দেশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। তারও আগে এ বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে দেশটির এক ধর্মীয় নেতা ‘হেশাম-আল-আসরি’ টেলিভিশনের পর্দায় এই বলে বয়ান দেন যে, “মিশরের মাটিতে খ্রিষ্টান নারীরা বেপর্দা হয়ে চলাচল করলে তাদের ধর্ষণ করা জায়েজ হবে।”
(প্রচ্ছদের ছবিটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত।)
[youtube DLPYouW2y2Y?modestbranding=1&rel=0 nolink]
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]
খারাপ লাগলো কথাটি শুনে
বাংলা আমার মা
hello I need visa 01677024096