• Fri. Nov ২২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

আজকের আলোচ্য বিষয় বর্তমানে কম টাকায়+ঝামেলা ছাড়া ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়?

ByLesar

Dec 16, 2015

যুবরাজ শাহাদাতঃ প্রিয় আমিওপারির সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। বরাবরের মতো আমিওপারি টিম আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে হাজির। আমাদের আজদের বিষয় কম টাকায় + ঝামেলা ছাড়া ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় ? তাহলে খুব মনোযোগ দিয়ে নিন্মের লিখা গুলো পড়ুন। 

এস্তনিয়া/ লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনার সুবিধা/অসুবিধা এক নজরে ।। Study in Baltic states ( Estonia e Lithuania )
অনেকের কিছু জিজ্ঞাসার উত্তর স্বরূপ আজকের পোস্ট। এই পোষ্টের উদ্দেশ এই না যে কেউ কাউকে ওই সকল দেশে আসতে অনুপ্রাণিত করা।বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সবাই সব কিছু হাতের নাগালে পাচ্ছেন!! তার অন্যতম একটু হল তথ্য। মামা গুগোল এর চাচা ওয়াকিপিডিয়ার আগমন আর আমাদের প্রিয় যুকারবারগ ভাইয়ের অসামান্য অবদান ফেইসবুকের ফলে এখন আর আগের মত ভুল ভাল তথ্য নিয়া এজেন্সিতে দৌড়ানোর তেমন দরকার পরে না। আর আমাদের বাংলাদেশী ভাই বোন যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে ইউরোপে আসতে চান তাদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র, তথ্য বলেন আর গাইড লাইন বলেন আমাদের ভাই ব্রাদারসদের মাধ্যমে যত টুকু সম্বভ আপনাদের সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপরের টাইটেলে যেভাবে বলা হয়েছিলো আজকের আলোচ্য বিষয় কম টাকায় + ঝামেলা ছাড়া ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় ? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

ইউরোপের খুব কম সংখ্যক দেশ আছে যে গুলোতে একেবারেই পড়াশুনা করতে কোন টাকা পয়সা লাগে না। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া এর মধ্যে অন্যতম। এই সব দেশে খরচ বলতে ডকুমেন্টস সেন্ড করা + ব্যাঙ্কে টাকা দেখানো এই বাবদ যা খরচ হয়। ব্যাঙ্কে যা দেখাতে হবে সেটা আপনার নিজের ই থাকবে। ফিনল্যান্ড এর এমব্যাসি বাংলাদেশে না থাকায় ইন্ডিয়া যেতে হবে রেসিডেন্স পারমিট এর আবেদনের জন্য। বাকি নরওয়ে, জার্মানি এর এমব্যাসি বাংলাদেশেই আছে। এর পরে আসি টিউশন ফী কম + ঝামেলা ছাড়া কোথায় ভিসা পাওয়া যাবে? আসলে অনেকের অনেক রকম টার্গেট থাকে। ইউরোপে সবাই যে পড়াশুনা করতে আসে তা না। অনেকে দেশে মাস্টার্স, ব্যাচেলর করা থাকে , অনেকে সেটেলমেন্ট এর প্লান নিয়ে ইউরোপে আসেন। যাদের টার্গেট ইউরোপে সেটেলমেন্ট তারা হাতে গুনা কয়েকটা দেশে পড়াশুনা শেষে সেট হতে পারবেন। অভিবাসন নীতির কড়াকড়ির ফলে অনেক ধনি-উন্নত দেশ গুলোতে সেটেল হওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে পড়াশুনা শেষ করলেও একটা সময় স্থায়ী বসবাসের পথ খুজেন। বর্তমান সময়ের ইউরোপে বৈধ পথে আসতে পারলে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স নেয়া যায় এমন কয়েকটি দেশের নাম হল পর্তুগাল, এস্তনিয়া, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া আর ইতালি। ইতালিতে এই প্রসেস অনেক আগে থেকে চলতেছে। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় আছেন ইতালিতে চাইলে ৬ মাসের জব কন্ট্রাক্ট মেনেজ করে, চাইলে ওয়ার্ক পেরমিট এ পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

পোল্যান্ড আগের চেয়ে অনেক সহজতর করেছে বিদেশীদের ভিসা দেয়া। তবে এখানে কথা আছে ইন্ডিয়া তে যারা আবেদন করে তাদের রিফিউজ ও করে অনেক। বাংলাদেশের, ইন্ডিয়ার বাহিরে কেউ কোন দেশ থেকে আবেদন করেন তাহলে ভিসা সিউর হয়। আর ইউরোপের নতুন দেশ গুলোর মধ্যে সম্বাভাবনার দেশ বললে এস্তনিয়ার নাম নিতে হবে , লিথুয়ানিয়ার নাম নিতে হবে প্রথমে।
প্রথমত এস্তনিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। জব মার্কেটের অবস্থা ও দিন দিন ভালর দিকে যাচ্ছে। অভিবাসন নীতি একটু সহজতর করায় অনেক বিদেশি এখন এস্তনিয়া বিজনেস স্থাপন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অপরদিকে লিথুয়ানিয়ার অবস্থাও সেইম। লিথুয়ানিয়া ও এস্তনিয়ায় স্টুডেন্টস থাকা অবস্থায় কেউ চাইলে বিজনেস পারমিট নিতে পারবে যদি ওই দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেখাতে পারে। ইনভেস্টর হিসাবে ৫ বছরের পারমিট পেতে পারে এস্তনিয়া তে যদি আপনি মিনিমাম ১৬ হাজার ইউরো তাদের দেশে ইনভেস্ট করেন। প্রতিবেশি দেশ লাতভিয়ার অবস্থা এবং আইন কানুন খুবই ই কড়া। এমনকি লাটভিয়ান বিয়ে করে কেউ পাসপোর্ট নিতে চাইলে লাতভিয়ায় ১০ বছর থাকতে হবে এখন থেকে (২০১৫ এর এপ্রিল এর নতুন রুলস) তথ্য প্রজুক্তিতে ও এস্তনিয়ান ও লিথুয়ানিয়ানরা খুবই এগিয়ে আছে। লিথুয়ানিয়া পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি পাবলিক WiFi Router স্থাপন করেছে ।২য় পজিশনে আছে এস্তনিয়া। অর্থাৎ এস্তনিয়া এবং লিথিয়ানিয়া সবচেয়ে বেশি পাবলিক ওয়াইফাই মিলে। আর সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম Skype এর জন্ম এস্তনিয়া তেই। স্টুডেন্ট হিসাবে বা জব পারমিট নিয়ে কেউ ৫ বছর কনটিনিউ থাকতে পারলে PR- পার্মানেন্ট রেসিডেন্স এর আবেদন করতে পারবেন। এস্তনিয়া ও লিথুনিয়ার অভিবাসন নীতি অনেকটা একই রকম।

কম খরচে থাকা খাওয়া ব্যবস্থার সুবিধা আছে। তুলনামূলক অন্যান্য দেশের চেয়ে টিউশন ফী অনেক কম ।
‪#‎এস্তনিয়ান‬ নাগরিকত্ত নিতে চাইলে আপনাকে টোটাল ৮ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে ।
‪#‎লিথুয়ানিয়ান‬ নাগরিকত্ত নিতে চাইলে আপনাকে টোটাল ১০ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে।
# পার্মানেন্ট রেসিডেন্স – PR আবেদন করতে চাইলে উভয় দেশে ৫ বছর বৈধভাবে থাকতে হবে + সাথে ওই দেশের ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট দেখাইতে হবে। বিস্তারিত তথ্য পাবেন নিচে উল্লেখ কড়া ওয়েবসাইটে।

অসুবিধা সমুহ – প্রথমত শীত প্রধান দেশ হওয়ায় জবের ক্ষেত্রে খুব জটিলতা পুহাতে হয়। ২য়ত ভাষা না জানার কারনে প্রথম অবস্থায় জব পেতে খুবই ঝামেলায় পড়তে , এমনকি প্রথম ৫/৬ মাস অনেক দৌড়া দৌড়ির পরে জবের সন্ধান পাওয়া যায় না। আর কাজ মেনেজ না করতে পারাতে অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য কোন দেশে যেয়ে অবৈধ হয়ে যায়। লিথুয়ানিয়ায় কাজ মেলানো মানে সোনার হরিণ খুজে পাওয়া। ওই দেশেরই লোক যারা আছে তারা উন্নত দেশ যেমন নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক যেয়ে কাজ করেন। বেতন কাঠামো অনেক নিন্ম মানের। ৩৬০/৪০০ ইউরো পর্যন্ত মাসিক ইনকাম কড়া সম্বভ। তবে সেটা ফুল টাইম জব হলে। নতুন ছাত্রদের প্রথম ৬ মাস অফিসিয়াল কোন কাজের অনুমতি থাকেনা লিথুয়ানিয়াতে। সো লাইফ অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায় আসার পর।
যারা ইউরোপে শুধু কোন ভাবে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পনা করে তারা এই সকল দেশ কে বেছে নিতে পারেন। এই দেশ গুলো কে ইউরোপের Gatway হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। স্টুডেন্ট ভিসায় এত বেশি জটিলতা না থাকায় চাইলে যে কেউ নুন্নতম যোগ্যতা থাকলে ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কগুলোতে নজর দিয়ে আসতে পারেন।
http://www.migracija.lt/
https://www.politsei.ee
আমরা খুব শিগ্রই আপনাদের জন্য এর একতি পুরনাঙ্গ গাইড লাইন নিয়ে হাজির হব, যদি মহান আল্লাহ্‌ চান, সেই পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে।

উল্লেখ্য ইতালি,জার্মান,ফ্রান্স,সুইজারল্যান্ড সহ সমগ্র ইউরোপের যেকোনো বিষয়, যেমন ভিসা সংক্রান্ত ও মাইগ্রেসন বিষয়ে সকল তথ্য,ইউরোপের দেশ গুলোতে কিভাবে সরাসরি সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত হয়ে লিগ্যাল ভাবে আসা যায়? ও আসার পর আপনার করনীয় কি? কোথায় যাবেন? কিভাবে কি করবেন? সহ ইউরোপের প্রবাস জীবন যাপন সম্পর্কে যেকোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগীতা পেতে আমাদের পেইজ লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
এতে করে ইউরোপের যেকোনো দেশে সরকারী ভাবে কোন প্রজেক্ট প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে আপনি আপনার ফেসবুকের ওয়ালে পেয়ে যাবেন।এবং আপনারা চাইলে সরাসরি আমিওপারি টিম এর সাথে আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ইউরোপ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। 

আমাদের সাথে যোগাযোগের বিস্তারিতঃ স্ক্যাইপ- amiopari টেলঃ +৩৯ ০৬২৪৪০৫২১৭ মোবাইল +৩৯ ৩৩৮১৪০৮৯১৭ (WIND)মোবাইলঃ +৩৯ ৩২০০৪১২৫৪০ (WIND)  মোবাইলঃ +৩৯ ৩৪২৭৯৭৩২৮০ (WIND) ইমেইলঃ  info@amiopari.com

ঠিকানাঃ Via Delle Albizzie-27, 00172 Rome (Centocelle), Italy.

কিভাবে আমাদের অফিসে আসবেন? কতো নাম্বার বাস/ট্রাম/মেট্রো ধরে? ইত্যাদি জেনে নিতে পারেন এখানে ক্লিক করে?

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

৪ thoughts on “আজকের আলোচ্য বিষয় বর্তমানে কম টাকায়+ঝামেলা ছাড়া ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়?”
  1. এস্তোনিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় কি কি ডকুমেন্টস লাগে???

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *