রফিকুল ইসলাম আকাশঃ উল্লেখ্য, ইউরোপ ভিত্তিক ডায়াসপোরা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা বাসুগ অভিবাসন ও উন্নয়ন, রেমিট্যান্স এর সঠিক কার্যকারিতা এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুবিধা বিষয়ে এক দশক ধরে কাজ করছে। জার্মানি, নেদার্ল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ও শ্রীলংকান প্রবাসীদের মাঝে এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে কাজ করছে বাসুগ।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেমিট্যান্স এর কার্যকারিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বাসুগ জার্মানির বন কর্মশালায় বক্তাগণ বলেন, দক্ষ প্রবাসী বৈশ্বিক জনশক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং চালিকা শক্তি। তাই টেকসই উন্নয়নে তাঁদের অবদান বাড়াতে হবে এবং উন্নয়ন নীতিমালায় তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের পরিবেশ ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এসইউই-এনআরডাব্লিউ এর সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বাসুগ-এর “বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য উন্নয়ন নীতিমালা ও অর্থনৈতিক সচেতনতা” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে বন নগরীর ডেপুটি মেয়র গাব্রিয়েলা ক্লিংম্যুলার এবং জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা ডঃ সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী। বাসুগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এসইউএ-এনআরডাব্লিউ এর প্রকল্প কর্মকর্তা বিলসন বুডে-ইজার। এছাড়া জার্মান ভাষায় বাসুগ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন সিটির ডেপুটি মেয়র ক্লিংম্যুলার।
বাসুগ জার্মানির সভাপতি ডঃ আহমেদ জিয়াউদ্দিন এর সঞ্চালনায় কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ পরিবেশন করেন বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধবতন গবেষক ডঃ এম এম ইসলাম, জার্মান বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল কবির এবং ফিলিপিনো-ডাচ বিশেষজ্ঞ ডঃ কোরাজন ডি। কর্মশালায় প্রবাসীদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এবং এর সুদূর প্রসারী প্রভাব বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সম্প্রতি এনআরডাব্লিউ রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিনিয়োগ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাসুগ জার্মানির প্রকল্প সমন্বয়কারী ও সাংবাদিক এ এইচ এম আব্দুল হাই। ধন্যবাদ প্রস্তাব জ্ঞাপন করেন সাংবাদিক ও বাসুগ সদস্য মারিনা জোয়ারদার। বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যের সাথে জড়িত ক্রেতা-বিক্রেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা, আমদানি ও রপ্তানিকারক, নীতি নির্ধারক এবং বাংলাদেশি অভিবাসী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।