মোহাম্মাদ ফয়সাল কোপেনহেগেনঃ পশ্চিমা দেশে নববর্ষ উদযাপন নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম একটি উপাদান হল মিলিয়ন ডলার অপচয়ের মাধ্যমে আতশবাজি ফুটানো। এদিকে, এ বিশাল অপচয় নিয়েও এদের চিন্তা থাকতো না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র নববর্ষের রাত্রিতে আতসবাজি ফুটাতে গিয়ে আহত হতে হচ্ছে এক উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক মানুষ, বিশেষত এ সময় পতকা-বাজির কারণে দৃষ্টি শক্তি হারাতে হয় অনেককে। ফলে খোদ পশ্চিমা দেশে নববর্ষ উদযাপনের ধরণ নিয়ে রয়েছে নানা নানা তর্ক-বিতর্ক। এ ছাড়াও আতশবাজি ফুটানোর মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপনের পর আরেকটি বড় সমস্যা দেখা যায় নিজেদের সুন্দর শহরটাকেই একেবারে অপরিছন্ন নরকে পরিণত করা।
আতশবাজির কারণে সৃষ্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বর্জ্যের বিশাল স্তপের অপরিছন্নতাও নগর কত্রিপক্ষের জন্য এক বড় সমস্যা। এদিকে, সারা দেশ যখন নববর্ষ উদযাপন শেষে নিজ শহরটাকে ময়লার স্তূপে পরিণত করে নাক ডেকে ঘুমানোর প্রুস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখন কোপেনহেগেনের মুসলিম কমিউনিটির একটা অংশ কোপেনহেগেনের প্রাণকেন্দ্রে নববর্ষ উদযাপন শেষে পরিছন্নতায় আসে। এমনিতেই ডেনমার্কে বিদেশীদেরকে দেখে বেশ রক্ষণাত্মক দৃষ্টিতে। ডেনিশ মুসলিম কমিউনিটির নগর পরিস্কার পরিছন্নতার মাধ্যমে নিজ শহরটাকে আবর্জনা মুক্ত করার এ প্রয়াস ডেনিশ মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করেছে।
ছবিতে নববর্ষে ভোরে প্রায় ৪০ জনের এক মুসলিম ভাইদের আতশবাজির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য পরিস্কারের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে।আপনার নিজ শহরটাকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে আপনি কি কোন ভূমিকা পালন করছেন? আসুন আমরা প্রত্যেকেই নিজ শহরকে পরিছন্ন রাখি।