গত ২০ নভেম্বর ২০১৪ ইতালির নগরী ভেনিসের piazzale della stazione Santa Lucia নামক ষ্টেশনে ৩৬ বছর বয়সের “মুসাররাফ হুসাইন” নাম এক প্রবাসী বাঙ্গালী ২৯ বছর বয়সের “শামির গোউয়ায়েম” নামক এক ইতালিয়ান নাগরিকপ্রাপ্ত কিন্তু অরিজিন মরক্কিয়ান নাগরিক কে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে ২০ নভেম্বর রাত ৯ তার দিকে। বাংলাদেশির সাথে ঐ ইতালিতে জন্মানো মরক্কিয়ান নাগরিকের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাংলাদেশি তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থলে উপস্থিত স্থানীয় অনেকে বিষয়টি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করেছে, এবং সাথে সাথে পুলিশ কল করার পর পুলিশ এসে রাত ১০:১৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ঘটনা স্থলে উপস্থিত অনেকে সেই খুনের সাক্ষী হিসেবে পুলিশের কাছে বিস্তারিত বিষয় খুলে বলেন। এবং তার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সেই আসামীকে ধরতে সক্ষম হন।
উল্লেখ্য আসামি ইতালির নগরী ভেনিসে স্ত্রী ও ৫ বছর ও ৫ মাসের দুই শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এবং তিনি একটি রেস্টুরেন্টে এক বেলা কাজ করতেন এবং বাকি সময় সেই ষ্টেশনে পর্যটক দের লাগেজ বহন করার এক্সট্রা একটি কাজ করতেন। ভেনিসের ঐ স্থানে প্রায় বাংলাদেশিদের সাথে ইতালিয়ান দের মধ্যে এই লাগেজ বহন করার কাজ নিয়ে দণ্ড চলে আসছে। কেননা ভেনেসির কমুনে থেকে খুন সহজেই পর্যটক স্থানে লাগেজ বহন করার কাজের জন্য লাইসেন্স সংগ্রহ করা যায় বলে, অনেক বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা পার্ট টাইম হিসেবে এই কাজটি বেঁছে নিয়েছিলেন। আর তাই প্রায় সময় ইতালিয়ান দের সাথে তাদের দণ্ড চলে আসছিল। তবে উক্ত ঘটনার সাথে নিহত ব্যক্তি লাজেগ বহন করার কাজে জড়িত ছিল কিনা? এই বিষয়টি এখনো বলা যাচ্ছেনা। পুলিশ সম্পূর্ণ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটানো এবং যাকে হত্যা করা হয়েছে সে সহ দুইজনেই মুসলমান হওয়ায়, পরের দিন উক্ত ষ্টেশনে অন্যান্য বাংলাদেশীরা মৃতের উপর শ্রদ্ধা দেখিয়ে তাদের মধ্যে কেউ লাগেজ বহন করার কাজে যাইনি। তারা সবাই এই ঘটনায় শোকাহত এবং সকলে মিলে শোকদিবস পালন করেছে।
যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।