মোহাম্মাদ ফয়সাল কোপেনহেগেনঃ“সুইডেন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়াবেঃ ২০১৫ সালে ১০৫০০০ রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী নিচ্ছে সুইডেন”।
সুইডেন ও ডেনমার্ক পাশাপাশি দুটি দেশ হলেও এখানে বসবাসরত বিদেশীদের প্রতি এ দুটি দেশের সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ দু’মেরুতে! সুইডেন যেখানে বিদেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল সেখানে ডেনমার্কে বিদেশীদের প্রতি কঠোর অবস্থানে।
সুইডিশ মাইগ্রেশন বোর্ড ইতোমধ্যে সে দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের আগামী বছরের জন্য একটা আগাম সম্ভবনাময় তালিকা তৈরি করে যেটিকে প্রতিবেশী ডেনমার্ক তো বটেই বলা হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে সহানুভূতিশীল অভিবাসন নীতি।
সারা বিশ্বে যেখানে কঠোর অভিবাসী নীতি চালু করছে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য সুইডেন বেশ উদার নীতি গ্রহনের ফলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার অভিবাসী গ্রহণের কথ জানিয়েছেন সুইডিশ মাইগ্রেশন বোর্ডের ডেপুটি ডাইরেক্টর মিকাইল রিবেনভিক! তিনি উল্লেখ করেন, অভিবাসীদের প্রতি সুইডেনের এ সহানুভূতিশীলনীতি কোন স্বল্পকালীন নয় বরং এটা একটা দীর্ঘকালীননীতি!
এদিকে, ডেনমার্ক কঠোর অভিবাসী নীতি প্রস্তাব করেছে এবং ডেনমার্কে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য স্বল্পকালীন টেম্পোরারি বা অস্থায়ী ভিসা নীতি চালুর কথা জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের ১ বছরের ভিসা যা পরে ২ বছরে বাড়ানো এবং রাষ্ট্র যদি মনে করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের ভিসা রিভিও করে নিজদেশে ফেরত পাঠানোর মত কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রেখে অতীতের চেয়ে আরও কঠোর নীতির কথা ইতিমধ্যে ডেনিশ পার্লামেন্ট কমিটির মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুইডেনে সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টির ষ্টেফান লোভেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসীদের প্রতি সুইডিশ সরকারের নীতি পরিবর্তন হতে থাকে এবং যেখানে ২০১৩ সালে ৫৪,২৫৯ জন সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, সেটি এ বছর শেষে দাঁড়াবে ৮১০০০ থেকে ৮৪০০০ হাজারে এবং ২০১৫ সালে এটি ১ লাখ ১২০০০ হাজারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।