সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে রফিকুল ইসলাম আকাশঃআগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ফ্রান্সের প্যারিসের লূ বূর্জ্যতে শুরু হতে যাচ্ছে ৪ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেসি ফ্রাংকফ্রুট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে প্রতি বছর দুইবার এই মেলার আয়োজন করা হয়। সূত্র মতে জানা যায়, ২০১৩ সালে ব্যাক্তি উদ্যোগেএই মেলায় শুধু মাত্র ১৪/১৫ টি বাংলাদেশী পোষাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারীতে ৪/৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। উল্লেখ্য এবছরের ফেব্রুয়ারীতে মেলায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ৮০০টির অধিক ষ্টল থাকলেও বাংলাদেশ থেকে এতো কম সংখ্যক কিংবা গত বছরের তুলনায় এবার কম প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করার কারন হিসাবে ব্যাপক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ব্যাক্তি উদ্যোগে মেলায় আসতে যা খরচ হয় তা ব্যবসায়ীদের পক্ষে অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। এবং ভাষাগত অনেক সমস্যার কারনে এখান থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়াও উল্লেখযোগ্য কারন হিসাবে ধরা হয়। এছাড়াও সরকারী কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারের দূতাবাসের কমার্স কনস্যুলার ফিরোজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুর‘র পঞ্জিকায় এই মেলার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি তাই এই মেলায় সরকারী কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।
প্যারিস ভিত্তিক মধ্যাস্থতাকারী সংগঠন বাংলাদেশ বিজনেস কনসাল্টিং বিবিসি বহু দিন ধরে কাজ করে আসছে বাংলাদেশী পন্য, পন্য সামগ্রী বিশ্বব্যাপী সমাদৃত করার জন্য। গত ২০ এপ্রিল প্যারিসের বিবিসির কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিবিসির কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের বস্ত্র বাণিজ্যের অন্যতম বড় আসর প্যারিসের টেক্সওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিবিসি। ইতোমধ্যে টেক্সওয়ার্ল্ড’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মেলায় আসার আগ্রহী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০টি স্টলের বুকিং দেওয়া হয়েছে। মেলায় সরাসরি অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে ১২ বর্গমিটার আয়তনের ষ্টলের জন্য প্রায় ৭০০০ ইউরো ষ্টল ভাড়া বাবদ মেলা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিবিসির মাধ্যমে মেলায় আসলে শুধু মাত্র ৩৫০০ ইউরো দিলেই হবে। বর্তমানে বিবিসি কর্তৃপক্ষ ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিবিসি মেলায় অংশগ্রহনকারী ব্যবসায়ীদের জন্য উন্নত মানের হোটেল, বিমান টিকেট, ট্রান্সপোর্ট, ট্রান্সলেটরসহ বিবিধ সুযোগ সুবিধা দিবেন। বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা যেন মেলায় অংশগ্রহন না করতে পারে সেজন্য একটি বিশেষ মহল চক্রান্ত করছে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় ভুল তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করার হিয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। কাজী এনায়েত উল্লাহ আরো বলেন, আগামী ১লা জুন বিজিএমইর সভাপতি আতিকুল ইসলামের সাথে এক গুরত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা রয়েছে বিবিসির। এসময় তারা ব্যবসায়ীদের মেলায় অংশ গ্রহনে উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষে আলোচনা করবেন। তাছাড়া এসমস্ত বিশেষ মহলের চক্রান্ত্রের তিনি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।