• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

চায়নার সাথে ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

Byadilzaman

May 22, 2013

চায়নার বাজার থেকে পণ্য কিনে খুব সহজেই আপনি আমদানি ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন। সুলভ মূল্যের কারণে সারা বিশ্বে চীনা পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। জুয়েলারি থেকে শুরু করে নানা রকম বিচিত্র পণ্যের সম্ভার আছে দেশটিতে।

১. প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন পাইকারি হারে আপনি কোন পণ্যটি কিনতে চান। যে পণ্যটি কিনতে চাইছেন, সেটা মান কেমন সেব্যাপারে নিশ্চিত হন। অনলাইন ঘাঁটুন, দেখুন রিভিউ আছে কিনা। চায়নার আমদানি-রপ্তানি ব্যবসাক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে এই মূহুর্তে যাবতীয় শিশুপণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন। এমন একটি পণ্য নির্বাচন করুন যা বেচা-কেনা করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। মানুষের কাছে পণ্যটির চাহিদার ব্যাপারটিও বিবেচনায় রাখুন, সেক্ষেত্রে ট্রেন্ডি আইটেম যেমন, স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও আপনার পণ্যের তালিকায় থাকতে পারে।

২. নিজে নিজে কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ-খবর করুন। যেহেতু আপনি দূরে থেকে পন্য ক্র্য়ের ব্যাপারটি পরিচালনা করবেন সেহেতু আগে থেকেই নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

৩. প্রাথমিকভাবে এলসি ছাড়া আপনার ব্যবসায় সাহায্য করতে পারবে এমন আমদানিকারকের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে পণ্যের দাম পরিশোধ থেকে শুরু পণ্য আনায় সুবিধা হবে। আবার, নিজে যদি টাকা পরিশোধ করতে চান তবে অনেক চাইনিজ কোম্পানি আছে যারা ব্যাংক বাদে অনলাইনে যেমন, মানি বুকার, পে পাল, এলার্ট পে ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ গ্রহন করে। এমন হলে, দেশে ডলার কিনে অনলাইনের মাধ্যমে চাইনিজ কোম্পানিকে পরিশোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে পণ্য আপনার হাতে কীভাবে আসবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন।
যদি আপনি আলি বাবার মাধ্যমে ঐদেশের কোন কোম্পানিকে নির্বাচন করেন। তবে এতে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। কারন, এখানে কোম্পানিগুলোর ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা আছে। ফলে, এমন কোম্পানিকে অনলাইনে অর্থ পরিশোধ করলে সমস্যা হবার কথা নয়।

নমুনা হিসেবে খুব কম পণ্য আনতে চাইলে (যা আসলে গিফটের পর্যায়ে পড়ে), তবে লক্ষ্য রাখবেন, পণ্য যেন সরকারি সার্ভিসে আসে। তা না হলে, ডি এইচ এল বা ইউ পি এস-এ ট্যাক্স হিসেবে আপনাকে অনেক টাকা গুনতে হবে। আর যদি মাঝারি বা পেশাদারভাবে কাজটি করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এলসির মাধ্যমে যেতে হবে।

যাহোক, অনেক সময়ই পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি আমদানিকারকদেরকে যাবতীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে । আপনিও যদি একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চান তবে তাকে অবশ্যই চায়নার ব্যবসাক্ষেত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে ।

৪. নিজে যদি সেলস-মার্কেটিং (যা প্রাথমিক অবস্থায় ব্যয়বহুল) করতে না চান, তবে এবার দেশে খুচরা পরিবেশকের সন্ধান করুন। বাড়তি স্টোরেজ ফি, সেলস কস্ট এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমদানিকৃত পণ্য খালাস করুন। পণ্য আমদানি করার সাথে সাথেই স্থানীয় ক্রেতাদের সাথে কেনা-বেচার কাজটি সেরে নিন।

৫. বেশ কিছু পণ্যের ফরমায়েশ পাওয়ার পর পণ্যগুলো নিয়ে একটু গবেষণা করুন। পণ্য ক্র্য়-বিক্রয় থেকে আপনি কতটুকু লাভ করছেন সেই হিসাব রাখুন। কি ধরনের পণ্য কিনলে আপনার লাভের ধারা বজায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করুন। এভাবেই একটু মাথা খাটিয়ে চায়না থেকে পণ্য কিনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল আমদানিকারক।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতেএখানে ক্লিক করুণতুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান ]]

৪ thoughts on “চায়নার সাথে ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে”
  1. খুব উপকারি,,অনেক কিছু শিখার আছে,ধন্যবাদ আপনাকে

  2. খুব উপকারি,,অনেক কিছু শিখার আছে,ধন্যবাদ আপনাকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *