আপনার যদি অতি সামান্য অর্থও থাকে তা জমানোর জন্য বা নিরাপদে রাখার জন্য দরকার একটি ব্যাংক একাউন্ট । টাকা লেনদেনের জন্যও ব্যাংক একাউন্ট একটি দরকারি বিষয়। অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে ভাবনার মাঝে পড়ে যান । আসুন জেনে নেই ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে কি কি বিষয় মাথায় রাখবেন সেগুলোঃ
কি ধরনের ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান?
দেশে বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে । সাধারণ ব্যাংকিং ও এর বাইরে ইসলামি ব্যাংকিং ও চালু আছে । আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক বেছে নিন ।
কি ধরনের একাউন্ট খুলতে চান তা ঠিক করুন
সাধারণ চাকরিজীবী হলে সঞ্চয়ী হিসাব আর আপনি ব্যবসায়ী বা ঋণগ্রহীতা হলে চলতি হিসাব। চলতি হিসাবে সাধারণত সুদ দেওয়া হয় না।
এ টি এম, কার্ড ব্যাংকিং চালু আছে কিনা জেনে নিন
আধুনিক সময়ে অনলাইন ব্যাংকিং জনপ্রিয় হচ্ছে । ঘরে বসেই অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড লেনদেন করতে পারবেন । দেখে নিন এ টি এম ক্যাশ পয়েন্ট এবং ব্যাংকের শাখা যত বেশি তত বেশি সুবিধা পাবেন। এস এম এস ব্যাংকিং আপনাকে তাৎক্ষণিক লেনদেন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে।
সেবার বিপরীতে ফি’র পরিমাণ জেনে নেবেন
ব্যাংক ভেদে সার্ভিস ফি’র তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত বিদেশী ব্যাংকে ফি একটু বেশি । সেবার বিপরীতে ফি দেখে নেবেন তা না হলে আপনার সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হ্রাস পাবে।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখবেন
দেশে ও বিদেশে প্রায়ই ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার কথা শোনা যায় । ব্যাংকে টাকা রাখার পূর্বে দেখে নিন ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং অবস্থা, AAA সর্বোচ্চ গ্রেডিং এর পর AA , A , B ইত্যাদি এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রবলেম ব্যাংক কিনা তা জেনে নিন, অতীত রেকর্ড ও পরিচালনা দেখে ব্যাংক এ একাউন্ট খুললে আপনার অর্থ নিরাপদে থাকবে।
উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও ব্যাংকের শাখা সংখ্যা, আপনার আবাসস্থল বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হতে শাখার দূরত্ব, বিভিন্ন সার্ভিস ও ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্ক দেখে নিলে ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]
প্রতিষ্ঠানের নামে সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্ট কি জয়েন্ট করা যায়? জানালে উপকৃত হব.