• Fri. Nov ২২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

এলসি(লেটার অব ক্রেডিট)করবেন কি ভাবে??

ByLesar

May 17, 2013

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইমপোর্ট এর ব্যবসা করতে চান এবং এ বেপারে তথ্য পাওয়ার জন্য নানন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন, তাদের জন্যই আজকে আমাদের এই পোস্ট। আপনাদের জন্য এই পোস্ট টি লিখেছেন আমাদের স্রদ্ধের বড় ভাই “মাহমুদ হাসান খান” তার হয়ে আমি আপনাদের কাছে এই পোস্টটি তুলে ধরছি।

আসলে ইমপোর্ট বলতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য আমদানী করা কে বুঝে থাকি, আর এই ইমপোর্ট করার জন্য আপনাকে এলসি বা  (লেটার অব ক্রেডিট) যেটিকে ইতালিয়ান ভাষায় বলে লেত্তেরা দি ক্রেদিতো, করতে হবে। তাহলে আসুন দেখে নেই কিভাবে এই এলসি করা হয়।

এলসি করতে হলে সবার আগে আপনার কোম্পানীর টিন ভ্যাট করাতে হবে। এরপর ব্যাংকে গিয়ে কোম্পানীর নামে একাউন্ড খুলতে হবে। তারপর ব্যাংক থেক এলসিএ ফর্ম কালেক্ট করে ফিলাপ করে ব্যাংক এ জমা দিতে হবে। এখানে কিছু ইনফো লাগবে (যেমন : কি পন্য, দাম কত, কোন দেশ থেকে আসবে এসব)। আমি নীচে ধারাবাহিকভাবে দিচ্ছি আরো বিস্তারিত :

পর্যায় ১ : কোম্পানীর ট্রেড লাইসেন্স,টিন, ভ্যাট করা। আইআর সি (ইমপোর্ট রেজি: সির্টিফিকেট) করা।

-পর্যায় ২ : কোন ব্যাংক এ কোম্পানীর একাউন্ট করা।

-পর্যায় ৩ : যে পন্য আনবেন তার ইনডেন্ট কালেক্ট করা (ধরা যাক আপনি ১৫ টন নিউজপ্রিন্ট কাগজ আনবেন কোরিয়া থেকে। এখন যে কোম্পানী থেকে আনবেন সে কোম্পানীর বাংলাদেশ প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দাম দর ঠিক করে একটা ডকুমেন্ট নেবেন। এটাই ইনডেন্ট। আর সে কোম্পানীর যদি বাংলাদেশ প্রতিনিধি না থাকে তাহলে সে কোম্পানীতে সরাসরি মেইল করে দাম ঠিক করে ডকুমেন্ট আনাতে হবে। তখন এটাকে বলা হয় পি আই বা প্রফরমা ইনভয়েস। এতে পণ্যের বিস্তারিত, দাম, পোর্ট অব শিপমেন্ট এসব তত্রাদি থাকে।)

-পর্যায় ৪ : ব্যাংক থেকে এলসিএ (লেটার অব ক্রেডিট এপ্লিকেশন) ফর্ম কালেক্ট করে ইনডেন্ট/পিআই অনুযায়ী তা পূরন করে ব্যাংক এ জমা দেয়া।

পর্যায় ৫ : এলসি মার্জিন জমা দেয়া । প্রথম দিকে ব্যাংক এ পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরা যাক এলসি ভ্যলু ২০,০০০ ডলার। ব্যাংক এ আপনাকে ১৬ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হবে। টাকার সাথে অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টও দিতে হবে। যেমন :

– আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)
– ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
– সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
– ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিত হবে)

ব্যাস হয়ে গেলো। এরপর ব্যাংক আপনাকে এলসির একটা কপি দেবে। অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে। কোন প্রশ্ন থাকলে হাসান ভাই কে করতে পারেন।

যোগাযোগঃ

email: mahmud.bangladesh@gmail.com
cell: +88 017 14044498

                    Website: www.trip2bangladesh.com

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

৩ thoughts on “এলসি(লেটার অব ক্রেডিট)করবেন কি ভাবে??”
  1. আস্তে আস্তে ব্যবসা বাড়লে ১০ ২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হ‌বে, এটা বুঝলাম না, আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হয়। waiting for your reply

    1. ব্যাংক এর সাথে ভালো একটি সম্পর্কে হলে এর পর থেকে আপনাকে আর পুরো টাকা জমা দিয়ে এলসি খুলতে হবে না।। তখন ১০ বা ২০% জমা দিয়েই খুলতে পারবেন।

  2. আমার কোন আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স নেই। আমি যদি নিজ ব্যবহারের জন্য ইন্ডিয়া হতে ১টি মোটরসাইকেল সিসিস ও ১টি ইন্জিন আনি তাহলে আমার কি কি করা প্রয়োজন হবে যদি কষ্ট করে বলতেন খুব উপকার হবে।

    বিঃদ্রঃ গাড়িটি আমি নিজে ডিজাইন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *