সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা সবুজে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ, আর আজ আমরা গর্ভিত এই দেশের নাগরিক হিসেবে,কেননা যেমন সুন্দর প্রাকৃতিক সুন্দরে ভরা আমাদের দেশ তেমনি এই দেশের মানুষের হৃদয়ে ভরা মায়া,স্নেহ ও ভালোবাসা যা কিনা সত্যিয় হার মানাবে অন্যান্য দেশের মানুষদের। একমাত্র আমরা বাঙ্গালীরাই ছোটকাল থেকে আমাদের সংস্কৃতি থেকে শিখে এসেছি কিভাবে মানুষকে মূল্যায়ন করতে হয়,কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়,যাতে একসময় ছোটরাও আমাদের শ্রদ্ধা করে, কিভাবে বৃদ্ধ বাবা-মার সেবা করতে হয়,যাতে এক সময় আমাদের সন্তানেরাও আমাদের সেবা করে ! কিভাবে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মাদ্ধমে একজন অপরিচিত মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া ! কিভাবে ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণা কে জয় করা ! কিভাবে সৎপথে থেকে কষ্ট ও পরিশ্রম করে নিজের ও দেশের সুনাম অর্জন করা ! কিভাবে আল্লাহ্ ও তার রসূলের পথে চলে নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করা।
কিন্ত আজ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে সেই সুজলা সুফলা দেশ ও তার সংস্কৃতি ছেরে অনেক দূর, এক অচেনা বেদনা বুকে নিয়ে পারি জমাতে হয়েছে দূর দূরান্তরে যা আমাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টদায়ক। তবে কষ্টদায়ক হলেও আজ আমি অনন্দের সাথে গর্ভনিয়ে বলতে পারি শতো দূরে থেকেও ভুলিনি আমি আমার সেই স্মৃতি, হারিয়ে যেতে দেইনি আমার মনুষ্যত্ব।
তবে আজ অনেকটা কষ্ট নিয়েই বলতে হয় যে, আমারা যারা প্রবাসে থাকি তারা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য আমরা কতোটুকু করতে পারছি। অনেকটা আমাদের কারনে আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, যা আমরা শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখছি।
যেমনঃ ধরেন অনেক ছেলেমেয়েরা মা,বাবার কথা শুনতে চায় না,ঠিক মত পড়াশুনা করতে চায় না। কারণ ওরা অনুকরণ প্রিয়, তাই এদেশে বিভিন্ন জাতি গোষ্টির অসামাজীকতায় দ্রুত ধাবিত হচ্ছে আমাদের সন্তানরা, এমনো ঘটতে দেখা যাচ্ছে যে তাদের কিছু বললেই প্রশাসনের ভয় দেখায়,তাই অনেক বাবা-মা ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না। শুধু যে সন্তানরা এরকম করছে তা নয়, কিছু কিছু স্থানে দেখা গেছে যে, কারোকারো ছেলে যদি বান্ধবী নিয়ে বাসায় কিংবা এদের মতো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তাতে তারা গর্ববোধ মনে করে।
এধরনের অপরাধকে প্রতিহত করার লক্ষে গার্ডীয়ানদের কি কোন পদক্ষেপ নেই? আপনার সুস্থ্য,সুন্দর পরামর্শেই গড়ে উঠতে পারে নতুন সমাজ ব্যবস্থা, এমনটাই প্রত্যাশা যেন হয় প্রতিটি অভিবাসী বাংলাদেশীদের।
আর একটা কথা আমি গার্ডীয়ানদের বলছি, যেহেতু আপনার সন্তানের এখনো ভালো-খারাপ বুঝার সময় হয়নি,তাই ওদের বুঝিয়ে সঠিক পথ দেখানো সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। কেননা একজন পিতা-মাতাই পারে তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে। যে পিতা-মাতা তারের সন্তানের অপকর্ম দেখে গর্ভবোধ করে তারা কখনোই তার সন্তানদের কাছ থেকে সন্মান পাবে না কেননা আজ আপনি জেনেশুনে ওদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন, ওরা আজ অবুজ ওদের চোখে কালো কাপর বাঁধা কিন্তু যখন ওরা বুঝতে পাড়বে যে, তার এই অবস্থার জন্য আপনিই দায়ী, তখন সে কখনোই আপনাদের ক্ষমা করবে না। কেননা আপনি ওর মুরব্বী এবং ওর থেকে অনেক অনেক বাস্তবসম্মত তাই আপনি যদি এ সময় ওকে সঠিক পথ না দেখান,তাহলে এর জন্য আপনি কখনোই ওদের কাছ থেকে সম্মান পাবেন না এবং পরকালের কথা না হয় বাঁদি দিলাম।
যাই হোক আমার কথায় যদি কারো কাছে খারাপ লাগে তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মায়ের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার লক্ষে ইতালির ভিসেন্সাতে আসছে ১৯শে, মে-২০১৩, বিকাল ৫ ঘটিকায় আয়োজন করা হয়েছে এক মুক্ত আলোচনা সভার উক্ত আলোচনায় আপনারা সবাই আমন্ত্রিত। এবং এটি আপনারা চাইলে ইতালির প্রতিটি নগরিতে গড়ে তুলতে পারেন, কেননা এতে করে আমরা সকল গার্ডীয়ানরা মিলে সম্মলিত ভাবে ওদের জন্য কিছু করতে পারবো।
স্থানঃ Palazzo U.N.P.L.I Pro – Loco
Piazza Giuseppe Zamini – 2
Malo, vicenza, Italy
আমন্ত্রনে- সপ্ননীল ইন্টারন্যাশনাল থিয়েনে, ভিসেন্সা, ইতালি।(Internet point,Money transfer, Centro Wind & Travel Agency)
যোগাযোগঃ
এস এম আলমগির – ৩২৭৯২৩৪৪১৬ ভিসেন্সা
খান মেহেদী হাসান ছোটন – ৩২৮৩৩৪৮৬৭৫ ভিসেন্সা
হোসেন জাকির – ৩২৭৯২৪৯৭৩৯ ভিসেন্সা
রাসেল – ৩৪২০২৮৫৩৭৯ রোম
প্রবাসের মাটিতে আপনার,আমার ও আমাদের দ্বারা আয়োজিত সকল ধরনের সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক, সামাজিক অনুষ্ঠান যেমনঃ মেলা,গান,খেলা-ধুলা,মিটিং,পিকনিক ও আলোচনা সভা সহ ইত্যাদি সকল অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে ” এখানে ক্লিক করুণ ”।