বলতে দ্বিধা নেই যে আমি একজন চেইন স্মোকার।অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম এটা ছেড়ে দেবো।কিন্তু কাজটা তো আর সহজ নয়।বিখ্যাত আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েনের একটা উক্তি এখানে না বললেই নয়।উনি বলেছিলেন “সিগারেট খাওয়া ছাড়া খুবই সহজ,আমি নিজেই শতাধীকবার ছেড়েছি”‘ যাইহোক খোঁজ পেলাম ইলেক্ট্রনিক্স সিগারেটের।এটি প্রাথমিক অবস্থায় সামান্য কিছু নিকোটিন মিশ্রিত তরল পদার্থ থেকে কৃত্রিম ধোঁয়া তৈরী করে ধূমপায়ীদের জন্য কিন্তু এই বাষ্প কিংবা কৃত্রিম ধোঁয়া ফুসফুসের কোন ক্ষতি করবে না।এই ইলেক্ট্রনিক্স সিগারেটটি ব্যাটারী চালিত যা মোবাইলের মত রিচার্য করা যায়।প্রথম কিছুদিন নিকোটিন মিশ্রিত ধোঁয়া সেবনের পর তরল পদার্থ পরিবর্তন করা হবে যেটাতে থাকবে না কোন নিকোটিন ।অর্থাৎ দেখা গেলো ধূমপান করছেন ঠিকই কিন্তু নেই কোন নিকোটিন কিংবা ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার ভয়।ইতালিতে ধূমপায়ীরা ধূমসে কিনছে এখন এই জিনিস। আমিও বাদ থাকিনি।কিনেই ফেললাম।
খরচঃ প্রথমে সবকিছু কিনতে আপনার খরচ পরবে বাংলাদেশী টাকায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।এরপর প্রতিমাসে ২০ মিলি তরল রিচার্জ কিনতে খরচ পরবে ২/৩ হাজার টাকা।
কি বাচলোঃ শরীর তো বাঁচলোই সেই সাথে বাঁচলো টাকা।হিসাব করে দেখুন তো বন্ধু/বান্ধব সহ প্রতিদিন কত খরচ হয় আপনার এই সিগারেটের খাতে?
সুবিধাঃ এটি সেবন করতে পারবেন যেকোনখানে।ঘরে,রেষ্টুরেন্টে,ট্রেনে,বাসে কিংবা ধূমপান সংরক্ষিত এলাকাতেও।এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।আর তাছাড়া এটি পাবেন বিভিন্ন স্বাদে যেমন সিগারেট,কফি,কিংবা বিভিন্ন ফলের স্বাদ।আরো বিস্তারীত জানতে সার্চ দিতে পারেন ইউটিউবে ইলেক্ট্রনিক্স সিগারেটস লিখে।
আমি ধূমপান ছাড়ছি।আপনি ছাড়ছেন তো?
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]