ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ কূটনীতিকদের নিয়মিত সর্বশেষ সভাটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ হাউজে। রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমার আতিথেয়তা ও ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওআইসি গ্রুপের ডিন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত। গুয়েররেরো স্টেট গভর্নর এবং মেক্সিকো সিটি মেয়রের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন সভায়, যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় রাজধানীতে প্রথম কোন মুসলিম সমাধিক্ষেত্রের অনুমতি প্রাপ্তির বিষয়টি। ৩ মে মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, “মেক্সিকোতে বসবাসরত সকল মুসলিম নাগরিকদের জন্য এটি একটি বিরাট সুসংবাদ। দীর্ঘদিন দেনদরবার করে ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা আমরা সবাই মিলে অসাধ্য সাধন করেছি”।
রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা আরো জানান, “ইসলামিক কবরস্থানের জন্য প্রাপ্ত স্থানটিতে আমরা এখন বাউন্ডারি ওয়াল তোলার জন্য কাজ করছি এবং এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে আমাদের ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশসমূহকে। মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ কমিউনিটিকে আমি পুরো বিষয়টি জানিয়েছি, তারা সাধুবাদ জানিয়েছে আমাদের এই কষ্টার্জিত অ্যাচিভমেন্টকে“। কবরস্থান মিশন সফল হবার পর ওআইসি ডিপ্লোম্যাটদের টার্গেট এখন রাজধানীতে আগে থেকেই চেষ্টা করে যাওয়া তথা বহুদিনের স্বপ্ন একটি ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। মেক্সিকান সরকারের সহযোগিতায় এটিও অচিরেই আলোর মুখ দেখবে বলে জানান বাংলাদেশের নিবেদিতপ্রাণ কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা।