জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক কাজী ইমতিয়াজ হোসেন জানান, “এখানকার বিভিন্ন স্টেটের সাথে পার্টনারশিপ ডেভেলপ করতে আমার যখনই সুযোগ হয় এবং আমি সুযোগ তৈরীও করি সশরীরে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে। ক্যানবেরা যেহেতু বেসিক্যালি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাপিটাল এবং ব্যবসা-বানিজ্যের সুযোগ এখানে অনেক কম, তাই আমি মনে করি সিডনী মেলবোর্ন অ্যাডিলেডের মতো বড় শহরগুলোতে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের ফিজিক্যাল প্রেজেন্স বাড়ানো প্রয়োজন”।
আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই উক্ত স্থায়ী কনস্যুলেট অফিসগুলো স্থাপনের ব্যাপারে আশাবাদী হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের ওপরে রয়েছে এবং প্রতি বছরই তা আশাব্যঞ্জক হারে বাড়ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানী বানিজ্য ছিল যেখানে মাত্র ১১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, সেখানে সদ্য শেষ হওয়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে লক্ষমাত্রার তুলনায় ২২ ভাগ বেশি অর্জনের মাধ্যমে তা ৬০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড়িয়ে যায়। একইসময় অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের আমদানী বানিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট এক্সপার্টদের মতে, সিডনী মেলবোর্ন এবং অ্যাডিলেডে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপিত হলে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা হবার পাশাপাশি সমগ্র অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বাংলাদেশী পন্যের আরো ব্যাপক বাজার সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ যেহেতু ২০০৩ সাল থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ‘ডিউটি এন্ড কোটা’ ফ্রি বানিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে, তাই চলমান সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ঢাকা থেকেও বিষয়টিকে ‘প্রায়োরিটি’ দেয়া হবে, এই আশাবাদ এখানকার বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের। তাছাড়া এতে করে অর্থনৈতিক সংকটমুক্ত বিশাল এই ভৌগলিক সীমারেখায় ‘স্কিল্ড এন্ড কোয়ালিফাইয়িড’ বাংলাদেশীদের আগমন আসছে দিনগুলোতে আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে।