ডেপুটি মেয়র বালদেব সিং রবি ঠাকুরকে নিয়ে তার রচিত কবিতার ভান্ডার থেকে “ইন দ্যা শ্যাডো অব ইওর থটস্ ” কবিতাটি পাঠ করেন । এরই সাথে তিনি সমবেত দর্শক শ্রোতাদের অনুরোধে একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে ব্যাপক আনন্দ দেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ডাচ নজরুল গবেষক ডাঃ পিটার কাস্টার । তার প্রবন্ধে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ধর্মান্ধতা ও কুপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থানের কথা তুলে ধরেন । বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান হানাহানির পেছনে সাম্প্রদায়িকতার যে বীজ লুকিয়ে আছে, তার জন্য নজরুলের শিক্ষা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীদ শিশুদের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা সকলকে মুগ্ধ করে। প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীবৃন্দের সূর-মূর্ছনা আবারও সকলকে মনে করিয়ে দেয়, জীবন জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসী হলেও, মনেপ্রাণে খাঁটি বাঙ্গালী ।
আর তাইতো বিদেশ বিভূঁইয়েও রবীন্দ্র-নজরুল চর্চা মোটেও থেমে নেই।স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, সাহিত্য সংস্কৃতির সমস্ত কিছুর সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।বাংলা সাহিত্যের এই দুই প্রবাদ পুরুষ বাঙ্গালীর অন্তরের অন্তঃস্থলে এভাবেই বেঁচে থাকবেন; বাঙ্গালী জাতী যেখানেই থাকুক না কেনো, রবীন্দ্র-নজরুলের বন্ধনা তারা করবেই-এমন প্রত্যাশা প্রতিধ্বনিত হয়েছে উপস্থিত সকলের মনে ।
অনুষ্ঠান শেষে দুতাবাস কতৃক পরিবেশিত বাঙ্গালী খাবার সকলের প্রশংসা অর্জন করে ।