বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হলো বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় আকাশযান। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১২৬ অনুসারে ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গঠিত হয়। সেদিন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে একটি ডিসি-৩ বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমান যাত্রা শুরু করে। বিমান বাংলাদেশের সাথে ৪৩ টি দেশের চুক্তি থাকলেও বিমান স্বল্পতাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে মাত্র ১৬টি দেশের সাথে বিমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।
ইতালির কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ শামসুল হুদা আক্ষেপ করে আমিওপারি কে বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স প্রতিদিন পর্যায়কক্রমে লোকসানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই লোকসানের জন্য তিনি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে দায়ী করেন। মিঃ হুদা বলেন, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো তাদের ব্যাবসায়িক লাভের জন্য অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি করে এবং বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের টিকিট নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখে। এ কারনে অনেক সিট খালি থাকে এবং অসাধু ব্যাবসায়ীরা পরে তা চড়া দামে বিক্রি করে। যার জন্য প্রতিবছর কমছে বিমানের যাত্রী সংখ্যা।
কান্ট্রি ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশ বিমান দিচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা। নতুন প্রবর্তিত বিমান “ফ্রিকোয়েট ফ্লাইয়ার প্রোগাম” এর আওতায় যে কোন যাত্রী ‘গ্রীণ লয়্যালটি কার্ড’ এর জন্য আবেদন করতে পারেন এবং ওই কার্ডের মাধ্যমে মাইল ক্রেডিট সংগ্রহ করতে পারেন। আবেদনের জন্য যাত্রীর নাম তালিকাভুক্ত করা খুবই সহজ। বিমানের ওয়েবসাইট থেকে এটি করা যায়। এছাড়া সকল বিমান ফ্লাইট, বিমান টিকেট অফিস, চেক-ইন কাউন্টার বা বিমানের বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জে রক্ষিত ফরম পূরণ করেও নাম রেজিষ্ট্রেশনের কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এই প্রোগ্রামে নাম লিখানোর পর থেকে আকর্ষণীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য আপনার নামে মাইল ক্রেডিট যোগ হতে থাকবে। এই প্রক্রিয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন যাত্রীর বিমান একাউন্টে ১০,০০০ মাইল ক্রেডিট যোগ হবে। ওই ক্রেডিটের বিনিময়ে সন্মানিত যাত্রী বিমানের যে কান অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে একবার আসা যাওয়ার সুযোগ পাবেন বিনামূল্যে। যাত্রীকে শুধুমাত্র ট্যাক্স পরিশধ করতে হবে। যাত্রী ইচ্ছা করলে কাঠমন্ডু বা কোলকাতার “ওয়ান ওয়ে” টিকিটও নিতে পারবেন।
এভাবে মাইলস সংগ্রহ করে ক্রমান্বয়ে যাত্রীরা বিমানের সকল রুটে বিনামূল্যে আসা-যাওয়ার ক্রেডিট অর্জন করতে পারবেন। সংগৃহীত ক্রেডিট ব্যাবহার করে অতিরিক্ত মালামালের ভাড়া, ইকোনোমি থেকে বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড হতে পারবেন। ঢাকাস্থ বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জ ব্যাবহারেরও সুযোগ পাবেন। এই কর্মসূচীর আওতায় সদস্যরা বিমানে বেশী বেশী ভ্রমণের মাধ্যমে ক্রমান¦য়ে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে সমর্থ হবেন। এর মধ্যে থাকবে পার্সোন্যাল সিলভার বা গোল্ড কার্ড এবং নামাঙ্কিত ব্যাগেজ কার্ড, যা দেখে বিমান কর্মীরা গ্রাহকের সিলভার বা গোল্ড স্ট্যাটাস জেনে নিতে পারবে। ২০১৩ সালের মে মাস থেকে শুরু করে এ যাবত যে সব ক্রেডিট “মাইলস” অর্জিত হয়েছে লয়্যালটি ক্লাবের সদস্য হওয়ার সাথে সাথে তার ৫০ শতাংশ ক্রেডিট সদস্যদের এ্যাকাউন্টে জমা হবে। এই সময়ে যে কোন গন্তব্যে ১০টি রাউন্ড ট্রিপ সম্পন্নকারী গ্রাহক আবেদনের সাথে সাথে সিলভার কার্ড পাবেন এবং ফ্লাইট সংখ্যা ৩৫ বা তার বেশী হলে সরাসরি বনে যাবেন গোল্ড কার্ড মেম্বার।
শুধু তাই নয় কোনও বাংলাদেশী অভীবাসি প্রবাসে মৃত্যুবরন করলে বিনা খরচে লাশ বহন করে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। যা আর কোনও এয়ারলাইন্স করেনা। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের দেশের প্রতীক নিয়ে বিদেশের মাটিতে প্রবেশ করে বিমান বাংলাদেশ। এটা আমাদের জন্য অহংকারের, যা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। মি. হুদা আশা প্রকাশ করে বলেন, যদি বিমানে আমাদের বাঙ্গালীদের ভ্রমণ আরো বেশী হয় তাহলে শুধু রোমেই নয় ইতালির অন্যান্য শহরেও যেমন ভেনিস, মিলানো, বোলজানো ইত্যাদি শহরগুলোতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তার কার্যক্রম শুরু হবে।
এখন কথা হচ্ছে এত সুযোগ থাকার পরও কেন বিমান মুখি হচ্ছেনা প্রবাসীরা? যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন জঘন্য পর্যায়ের শিডিউল পরিবর্তন, বেশি দামে টিকিট বিক্রি, বিমান কর্মীদের দূর্ব্যবহার এবং ভালো সার্ভিস না পাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজ দেশের এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করেন না। ট্রাভেল এজেন্সি ব্যাবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতেই বিমান কর্তৃপক্ষ দোষ চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির উপর। তুলে ধরেন কিছু খোড়া যুক্তি, যা মোটেও ঠিক নয়। তারা বলেন, Gds (Global distribution system) যে প্রগাম ব্যাবহার করে এয়ারলাইনস। প্রত্যেক এয়ারলাইনসের সাথে জি ডি এস সম্পৃক্ত। প্রত্যেক এয়ারলাইন্সের নিজস্ব একটি বুকিং পলিসি রয়েছে। যে এয়ারলাইন্স যেমন বুকিং পলিসি দিবে জিডিএস সেই পদ্ধতিই চালু রাখবে। অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো টাইম লিমিট অপশন ব্যাবহার করে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে চলে গেলে বুকিং অটমেটিক বাতিল হয়ে যায়। বাংলাদেশ বিমান কেন ওই অপশন ব্যাবহার করেনা? বিমান ম্যানেজমেন্টের অভিযোগ হলো- নকল নাম দিয়ে টিকেট বুক করে রাখে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো! এখন কথা হচ্ছে, তারা কেন এ সুযোগ চালু রেখেছে? অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো যেভাবে বন্ধ করেছে, বাংলাদেশ বিমান কেনো তা করে না?
কোনো টাইম লিমিট অপশন রাখেনি বিমান, যে কারনে টিকিট বুকিং ক্যানসেল হয় না। যার ফলে ৭২ ঘন্টা পার হলে টিকেটের দাম এমনিতেই বাড়তে থাকে। সাধারনত একটা টিকিটের দাম ৫৫০ ইউরো, এভাবে তা বেড়ে দাড়ায় ৭০০ ইউরোতে। পরে ওই টিকিট আর ইস্যু করা সম্ভব হয়না। এই অব্যবসায়ীক সুযোগগুলো সেটআপ করে রেখেছে বিমান ম্যানেজম্যান্ট। অথচ তারা দোষ চাপায় ট্রাভেল্স এজেন্সির উপর। কেন এই দায় নিতে যাবে ট্রাভেল এজেন্সি? নিয়ম বা অনিয়ম সব কিছুই তো তৈরী করেছে বিমান ম্যানজম্যান্ট। এখানে এজেন্সির উপর দোষ চাপানোর যুক্তিকতা কি!
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যাবসায়ী বলেন, জিডিএস হলো বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার ব্যাবসা। সেখান থেকে আমরা ছোট একটা ইউনিট ইউটিলাইজ করি এয়ারলাইন্স থেকে এপ্রোভ্যাল নিয়ে। তাদের সাথে আমাদের একটা ইনটারন্যাল এগরিমেন্ট থাকে। আমরা একটা টিকেট বিক্রি করলে দুইটা সিগমেন্ট কাউন্ট হয়। আমাদের টার্গেট দেয়া হয়, যদি ৬০০ থেকে ৮০০ সিগমেন্ট পূর্ন করতে পারি তাহলে আমাদেরকে প্রতি সিগমেন্টে ৬০ পয়সা করে বেনিফিট দেয়া হয়। আর যদি টার্গেট পূর্ণ করতে না পারি তাহরে জিডিএস কে ডাবল পেমেন্ট করতে হয়। জিডিএস আমাদেরকে কোনও স্পেশাল পাওয়ার দেয় না। শুধু মাত্র ফরমেট করা, বুকিং করা, টিকিট ইস্যু করা, এটুকুই। একটা বুকিং কতক্ষন ধরে রাখা যাবে বা এর নির্দিষ্ট সময় কতক্ষন থাকবে এই ডিরেকশনগুলো দেয়া হয় এয়ারলাইন্স থেকে। এখানে জিডিএস বা আমাদের কোনো হাত থাকে না। অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং ম্যানেজম্যানট চিন্তা করে কোন পলিসি করলে তাদের ব্যবসা ভালো হবে, তারা জিডিএস কে সেই মোতাবেক ডিরেকশন দেয়। জিডিএস তাদের ফরমায়েশ মতো প্রগ্রাম সেটআপ করে বাজারে ছাড়ে। এখানে অন্যের উপর দোষ চাপানোর কোনো সুযোগ নেই। আসলে আমাদের বিমান কর্তৃপক্ষ ব্যবসা বোঝে না, তারা আপদমস্তক দূর্নীতিগ্রস্থ। নিজেদের অযোগ্যতা, ব্যর্থতা আড়াল করতেই তারা অন্যের উপর দোষ চাপায়। তারা খুব ভালো করে জানে সাধারণ মানুষ এই ব্যবসার গোমর বোঝে না, সুতরাং যা ইচ্ছা তাই করা যায়। যেভাবে খুশি অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের ভোগ বিলাস অব্যাহত রাখা যায়।
রোমের বিমান টিকেট ব্যসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, বিমানের কান্ট্রি ম্যানাজারকে কোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে বলেন আমি কিছু জানিনা! ডিসিসান মেক করা হয় ঢাকা থেকে। ঢাকা থেকে যা বলা হয় আমাকে তাই করতে হয়। তাদের এখন প্রশ্ন হলো- কান্ট্রি ম্যানেজারের কথা যদি সত্যি হবে তাহলে এখানে তার দরকার কি? তার কাজ কি? সব সিদ্ধান্ত যদি ঢাকা থেকেই নেয়া হয় তবে তাকে কেনো লাখ লাখ টাকা ব্যায় করে এখানে পুশতে হবে? আসলে অযোগ্য, অথর্ব মানুষগুলোকে রাজনৈতিক নিয়োগের মাধ্যমে এইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর ফলেই বাংলাদেশ পতিটি পদে পদে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসীরা কোটি কোটি ইউরো ডলার পাঠিয়েও দেশের অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশিল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছে না। দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে না।
বিবিসি বাংলার একটা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সাম্প্রতিক যোগ হয়েছে আরো একটি বোয়িং ৭৭৭। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সামনে যোগ হবে আরো একটি বহর। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে। তবে বিশেষজ্ঞ ও যাত্রীরা বলেছেন, দুর্নীতি এবং অব্যাবস্থাপনার অবসান না হলে শুধুমাত্র উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমানকে সংকট মুক্ত করা যাবেনা। বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপ দেয়া যাবে না।
বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমিও বিমানে ভ্রমন ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছি আবার বিমানে ভ্রমন করবো। তার এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রী হওয়ার কারনে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না’ মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়। শিডিউল ও সার্ভিসের উন্নতি হচ্ছে বলে। নানা অনিয়ম, সংকট বা যাত্রীদের দুর্ভোগের কারনে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রায় সময়ই শিরোনাম হয় বিমান। আন্তর্জাতিক রুটে ভ্রমনকারী যাত্রীদের এখন খুব কম সংখ্যকই বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমন করেন। এটি স্বীকার করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্নীতি বন্ধ করে এবং মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করেই যাত্রীদের আস্থা অর্জন করে বিমানকে লাভজনক করতে চায় সরকার। মন্ত্রীর দাবী, শিডিউল সংকটের উত্তরন ঘটতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিমান শিডিউলের ৭৫ ভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে। নতুন এয়ারক্রাফট আনতে পারলে আরো সুবিধা হবে।বিমানের সাবেক বোর্ড ডিরেক্টর ওয়াহিদুল আলমকে প্রশ্ন করা হয়, বিমানের সমস্যার মূল কারন কি শুধু উড়োজাহাজ সংকট? উত্তরে তিনি বলেন, মূল সমস্যা হলো ব্যাবস্থাপনায়। তাছাড়া দুর্নীতির বিষয়টা সবসময়ই উপরে উঠে এসেছে। এছাড়াও নানা কারনে বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর্থিকভাবে। শুধু উড়োজাহাজই একমাত্র সংকট নয়।
বাংলাদেশের বিমান তার লেজে অঙ্কিত লাল বৃত্তের ভেতরে সাদা বলাকা চিহ্ন নিয়ে আকাশে ওড়ে, যাকে বলা হয় আকাশে শান্তির নীড়। শুরুর দিকে বিমানের নাক থেকে লেজ অবধি একটি গাড় সবুজ লাইন অঙ্কিত ছিল। আশির দশকে তা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের পতাকার সাথে মিলিয়ে লাল সবুজের রং দেয়া হয়। আমাদের প্রিয় পতাকা খচিত আকাশে শান্তির নীড় কে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের। প্রকৃত দেশপ্রেম হলো দেশের উন্নয়ন করে তা দশের কাছে উপস্থাপন করা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এই যে, আমাদের মধ্যে প্রকৃত দেশপ্রেম নেই। সত্যিকারের দেশপ্রেম কী তা আমাদের অধিকাংশ মানুষ বোঝে না। ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ এলেই আমাদের দেশপ্রেম উথলে ওঠে। মাথায় দেশের পতাকা বেঁধে আমরা উল্লাসে ফেঁটে পড়ি। আর সারা বছর দুর্নীতি করে দেশের পাইন মারি। একে দেশপ্রেম বলে না। একে বলে ভন্ডামি, প্রতারণা, জালিয়াতি। যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করে না, তারা যতো বড় বড় এবং পাকা পাকা কথাই বলুক না কেনো তারা দেশপ্রেমিক নয়। তারা ভন্ড, প্রতারক।
ঢাকার এয়ারপোর্ট এশিয়ার মধ্যে নবম নিকৃষ্ট তম এয়ারপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমরা চাইনা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সও এমন কোনো উপাধি পাক। আশা করি আমাদের জনগণ সচেতন হবে। অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজদের বিদায় করে বিমানসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেম প্রদর্শন করবে।
তাহমিনা ইয়াসমিন শশী
ভেনিস ইতালী
যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য যারা আমিওপারির লেখা তাদের পত্রিকায় কপি করে প্রকাশ করেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। আমরা চাই যারা আমিওপারির লেখা তাদের পত্রিকায় প্রকাশ করছেন তাদের কে অবশ্যই এখানে বলে দেওয়া এই দুইটি বিষয় উল্লেখ করে দিতে হবে।
১। লেখার উপরে আমিওপারির লোগো দিতে হবে।
২। লেখার শেষে এখানে বলে দেওয়া ব্রাকেটে মধ্যে লেখাটি লিখে দিতে হবে ( সূত্রঃ আমিওপারি ডট কম এরকম আরও এবং ইতালি ও ইউরোপ সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য ভিজিট করুন www.amiopari.com ওয়েব সাইট) ধন্যবাদ।
Lovely…
thankx