• Fri. Nov ২২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

মানবজাতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে ‘ইবোলা’ ভাইরাস।

Bykader78

Oct 21, 2014

 

আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন।নিশ্চয় ভালো আছেন।যাক আসল কথাই আসি।আজকের আলোচনা ‘ইবোলা’একবিংশ শতাব্দীতে মানবজাতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে ‘ইবোলা’ ভাইরাস। আফ্রিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকা-ইউরোপে ‘ইবোলা’ ছড়িয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ সুদানে ১৯৭৬ সালের প্রথম এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তারপর আরও কয়েকবার এ রোগের মহামারী দেখা দিলেও তা আফ্রিকার কয়েকটি দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ বছর মার্চ মাসে গিনিতে প্রথম এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং পার্শ্ববর্তী লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে আমেরিকা-ইউরোপে ‘ইবোলা’ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। ইবোলা ভাইরাসে এ পর্যন্ত আট হাজারের অধিক আক্রান্ত হয়েছে এবং চার হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

কারণ : ‘ইবোলা-ভাইরাস’ এ রোগের জন্য দায়ী। পাঁচ ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হলেও, মূলত চার ধরনের ‘ইবোলা-ভাইরাস’ মানবদেহে এ রোগের কারণ। ভয়ঙ্কর এ রোগে আক্রান্তদের ২০-৯০ ভাগ মৃত্যুবরণ করে থাকে। তবে এবারের মহামারীতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ ভাগ।

কিভাবে ছড়ায় : ধারণা করা হয়ে থাকে এক ধরনের বাদুড়ের মাধ্যমে এ রোগ মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে। বাদুড় ছাড়াও গরিলা, শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। সংক্রমিত প্রাণীর সংস্পর্শে বা মাংস খেয়ে এ রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত রোগীর লালা, বমি, মল-মূত্র, ঘাম, অশ্রু, বুকের দুধ এবং বীর্যের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্তদের ব্যবহার করা সুই, সিরিঞ্জ এমনকি কাপড়ের মাধ্যমেও ছড়ায়। নাক, মুখ, চোখ, যৌনাঙ্গ বা ক্ষতের মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। রোগাক্রান্তরা সুস্থ হয়ে গেলেও, ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত বীর্যের মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। মৃতদের মাধ্যমেও ছড়ায়।

লক্ষণ : ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ২-২১ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে, গড়ে ৭-১০ দিন। প্রাথমিকভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জ্বর, ক্ষুধামন্দা, গা ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি দেখা দেয়। এর পরে বমি, পাতলা পায়খানা এবং ত্বকে লক্ষণ প্রকাশ পায়। নাক, মাড়ি, চোখ, বমিতে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ত্বকে রক্তক্ষরণের কারণে এক ধরনের ছোপ ছোপ লালচে ক্ষত দেখা দেয়, কাশি এবং মলেও রক্তক্ষরণ হয়। শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ হতে থাকে, লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে। এ রোগের কিছু লক্ষণ ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুজ্বরের মতো মনে হতে পারে। ৮-১২ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়ে থাকে। যারা বেঁচে যান তাদের অনেকদিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। দুর্বলতা এবং অস্থি জোড়ার ব্যথা রোগ প্রশমনের দীর্ঘকাল পরও পরিলক্ষিত হয়।

রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা : সাধারণত ভ্রমণের ইতিহাস এবং রক্ত পরীক্ষার মাধমে এ রোগ শনাক্ত করা হয়। ভাইরাসজনিত রোগ বিধায় এ রোগের সঠিক কোনো চিকিৎসা নেই। লক্ষণ অনুযায়ী নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়েথাকে, যেমন : পানিশূন্যতার জন্য স্যালাইন, রক্তক্ষরণের জন্য রক্তের প্লাজমা, ডায়ালাইসিস, এন্টিবায়োটিক, এন্টিভাইরাল ইত্যাদি দেওয়া হয়ে থাকে।
সবাই সুস্ত থাকুন ভালো থাকুন আজকের মত এখানে শেষ করলাম।

kader78

বাংলা মায়ের চির দুঃখি রূপ পরিবর্তন করে মায়ের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে যারা তাদের বেশীর ভাগই প্রবাসী আমি এই প্রবাসী ভাইদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই যারা নিজের জীবন যৌবন স্পরিবার পরিজন সব বিসর্জন দিয়ে ভাগ্য পরবর্তনের যুদ্ধ করে যাচ্ছে। " আপনার প্রবাস জীবন হউক নিরাপদ ও সুন্দর " Anwarul kader,Rashal.Born:6 jun 6,1978 feni,bangladesh

Exit mobile version