ছুটি কাটানো, বেড়ানো কিংবা আত্নীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবার কাজ বা চাকরি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে তিন মাসের কম সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতেও ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তিন মাসের কম সময়ের কোন কোর্স করতেও ভিজিটর ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়। [sociallocker]
যারা ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে:
- যেকোনো পাসপোর্টধারী অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। আবার অস্ট্রেলিয়ায় ভিজিটর ভিসায় অবস্থানকারীরা আরও বেশি সময়ে অস্ট্রেলিয়া থাকতে চাইলে পুনরায় ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
- অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে এধরনের ভিসা আবেদন জমা দিতে হয় এবং আবেদনকারীকে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অবস্থানকালেই কেবল ভিসা দেয়া হয়।
- অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের মা-বাবাদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া হয়।
বাংলাশে থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে ভিএফএস সেন্টারে।
ঠিকানা:
ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, ৫ম তলা, প্লট: ৩৭, সড়ক: ৯০, নর্থ এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা- ১২১২।
ই-মেইল:
হেল্প লাইন:
+ 88 02 9895894 (রবি থেকে বৃহস্পতি সকাল ৮:৩০ টা থেকে দুপুর ২ টা এবং বিকাল ৩ টা থেকে বিকাল ৪টা।
অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন এন্ড বর্ডার প্রটেকশন এর বাংলাদেশ অফিসটি রয়েছে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলীয় হাই কমিশন অফিস প্রাঙ্গণে।
ঠিকানা:
১৮৪, গুলশান এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২।
হেল্প লাইন: +8802 8813105 এক্সটেনশন 452 (রবি- থেকে বৃহস্পতি, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা)
ক্লায়েন্ট আওয়ার হল সকাল ৮:৩০ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, ওয়েবসাইট থেকে এপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যেতে হবে।
ট্যুরিস্ট স্ট্রিম (সাবক্লাস ৬০০)
ছুটি কাটানো, বেড়ানো কিংবা আত্নীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া যেতে ট্যুরিস্ট স্ট্রিমের আওতায় আবেদন করতে হবে। ব্যবসায়িক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে যেতে হলে এ পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন করা যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে যারা অস্ট্রেলিয়া যাবেন তাদের অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকেই ভিসার আবেদন করতে হবে আর যারা অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং অবস্থানের সময় বাড়িয়ে নিতে চাইছেন তাদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে।
বিজনেস ভিজিটর স্ট্রিম (সাবক্লাস ৬০০)
ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যেতে বিজনেস ভিজিটর স্ট্রিমের আওতায় আবেদন করতে হবে। সাধারণ ব্যবসায়িক কাজ ছাড়াও ব্যবসায়িক আলাপ আলোচনা বা কনফারেন্সের জন্য বিজনেস ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
পুনরায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কিংবা দীর্ঘ সময় থাকতে
অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ বা পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করতে ভিজিটর ভিসা দেয়া হয়। দীর্ঘসময় অবস্থানের জন্য এ ধরনের ভিসা দেয়া হয় না। ভবিষ্যতে আবার ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইল তাকে অবশ্যই লম্বা একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কাটাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দীর্ঘ সময় থাকার প্রয়োজন হলে অন্য ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিজিটর ভিসার আওতায় অস্ট্রেলিয়ায় এক বা একাধিকবার প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যাবে। সাধারণভাবে ভিসার মেয়াদ তিন মাস অর্থাৎ মোট তিন মাস অবস্থান করা যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। তবে ছয় মাস বা একবছর মেয়াদী ভিসাও দেয়া হয়। ভিসার মেয়াদ কতটা হবে এবং আবেদনকারী কয়বার প্রবেশের অনুমতি পাবেন সেটা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত চাহিদা বা অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
ভিসা ফি
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বা ব্র্যাক ব্যাংকে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে বাংলাদেশী টাকায় অস্ট্রেলিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে ভিসা ফি জমা দেয়া যায়। ব্যাংক ড্রাফট মাশুল ৩০০ টাকা। ভিএফএস সেন্টারে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি কাউন্টারও আছে। ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও ভিসা ফি ফেরত দেয়া হয় না।
আবেদনপত্রের সাথে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
আবেদনপত্রের সাথে সর্টিফাইড কপি জমা দিলেই চলবে। কোন কাগজের মূল-কপি জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। মূল-কপি প্রয়োজন হলে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হবে। কোন কাগজ ইংরেজিতে না থাকলে সেটার যথাযথ ইংরেজি অনুবাদও জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদনের সাথে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ভিসা আবেদন বিবেচনার জন্য আরও তথ্য চাওয়া হতে পারে।
- বর্তমান এবং আগের পাসপোর্টের (যদি থাকে) সত্যায়িত কপি প্রয়োজন হবে। নোটারী পাবলিকের মাধ্যম সত্যায়ন করতে হবে। ভিএফএস অফিস থেকেও মূল পাসপোর্ট দেখিয়ে সত্যায়ন করে নেয়া যায়।
- জন্মসনদের সত্যায়িত কপি লাগবে। জন্মসনদে বাবা-মা উভয়ের নাম উল্লেখ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক (৪৫ মিলিমিটার × ৩৫ মিলিমিটার) ছবি, ছয় মাসের বেশি পুরনো নয়।
১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদনের জন্য অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে। যদি বাবা কিংবা মা উভয়ে বা তাদের কোন একজন শিশুর সাথে ভ্রমণ না করেন তবে তাদের লিখিত অনুমতিপত্র দেখাতে হবে। এজন্য নির্ধারিত ফরম ব্যবহার করতে হবে। অভিভাবকের পরিচিতির প্রমাণ হিসবে তাদের পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি দিতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা অভিভাবক ছাড়া অস্ট্রেলিয়া গেলে যার কাছে থাকবে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তার দায়িত্ব নেবেন এটা নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে জানাতে হবে।
অন্যান্য কাগজপত্র
- অস্ট্রেলিয়া যেতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে,
- যে উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হচ্ছে তার স্বপক্ষে প্রমাণ দেখাতে হবে,
- কোন সংস্থার আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া গেলে সে আমন্ত্রণপত্র,
- কনফারেন্সে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া গেল রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত,
- অফিসিয়াল কারণে যেতে হলে চাকুরিদাতার তরফে লেখা চিঠি যেখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হবে;
- ভ্রমণের বিস্তারিত এবং যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা,
- শিক্ষাগত এবং পেশাগত যোগ্যতার স্বপক্ষে কাগজপত্র,
- বর্তমান চাকরি এবং অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা, ইত্যাদি।
অন্যান্য তথ্য
- সাধারণত আবেদন নিষ্পত্তিতে ৩০ দিন লাগে। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন হলে সময় বেশি লাগতে পারে।
- ট্যুরিস্ট স্ট্রিম ভিসা আবেদন ফর্মটি পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন এখানে ক্লিক করে
- বিজনেস ভিজিটর স্ট্রিম ভিসা ফর্মটি পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন এখানে ক্লিক করে
উল্লেখ্যঃ আমিওপারি টিম আপনাদের জন্য দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধীরা মিলিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবং আমরা সব সময় বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি, যাতে করে আপনারা খুব সহজে প্রবাসে আপনাদের জীবন আরও সুন্দর ও সহজ করে তুলতে পারেন। আর তাই আমরা কিন্তু বিগত দীনগুলোতে এরকম অনেক প্রয়োজনীয় তথ্যের সোর্স এবং লিঙ্ক সহ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতাম যাতে করে আপনারা খুব সহজেই প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারেন।আবার অনেক বিষয় আপনাদের হাতে ধরেও বুঝিয়ে দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য যে, কিছু দিন ধরে আমাদের কাছে কিছু অনৈতিক বিষয় ফুটে উঠেছে এবং আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করছে। যেমন আমরা এখানে আপনাদের জন্য প্রতিটি বিষয়ের লিঙ্ক সহ প্রকাশ করি, আর কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী আমাদের এই সরল মন মানসিকতাকে তাদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তারা আমাদের কাছ থেকে এই বিষয় গুলো জেনে আপনাদের সাথে ব্যবসা করছে। যেমন কিছু দিন আগে আমরা এখানে ডেনমার্কে সিজনাল কাজের অফার নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করি এবং সেখানে আপনাদের বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে কি করবেন? কিন্তু আমাদের কাছে রিপোর্ট এসেছে যে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে অনেক কে অনলাইনের সেই ফর্ম পূরণ করে দেওয়া সহ আরও নানা ধরণের কর্ম কাণ্ড করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় দেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তাদের নিজ ব্যবসার স্বার্থে ব্যবহার করছে। আর তাই আমরা এখন থেকে এখানে কোন প্রকার লিঙ্ক প্রকাশ করবো না। যারা আমাদের সাইট ভিজিট করেন তারা তাদের প্রয়োজনে আমাদের টিম এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আমরা কখনোই এরকম কিছু করার পক্ষপাতি ছিলাম না, কিন্তু যেহেতু আমরা বাঙ্গালী জাতী এবং আমাদের রক্তের সাথে কিছু একটা মিশে আছে তাই তাদের এরকম কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা আজ এরকম কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছি। আর এর জন্য আমাদের পাঠক দের কাছে আমরা একান্ত ভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সেই সাথে আমরা আশা করবো যে আপনারা আমাদের বিষয়টিকে বুঝতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন ও জব অনুসন্ধান সহ ইত্যাদি বিষয়ের লিঙ্ক বা বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের টিম এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আর যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ। [/sociallocker]
Hi Dear
Can you send all the details in my mail address.
Thanks
Sanjib
Please send me info. Of Denmark sesonal visa detail. Tnk u.
আমি কর্মের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য বদলাতে আমার স্বপ্নের দেশ অস্ট্রেলিয়া যেতে চাই. আছে কোন সুযোগ প্লিজ জানাবেন …???