ওই সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখানো বন্ধ না করলে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
নোটিসে বলা হয়, ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেল বাংলাদেশে দেখনো হলেও ভারতে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল দেখানো হয় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় চ্যানেলের ‘অবাধ সম্প্রচারের’ কারণে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো দর্শক হারাচ্ছে।
“দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। এতে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সর্বশেষ ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত একটি সিরিয়ালের একটি চরিত্রের পোশাকের জন্য দুইজনের প্রাণও গেছে।”
গৃহিনী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি কাজের বুয়ারাও এসব চ্যানেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মন্তব্য করে নোটিসে বলা হয়, “কাজের বুয়াদের এসব চ্যানেল দেখতে না দিলে তারা কাজ করতে চায় না।”
‘পাখির প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃত করে ওই নোটিস পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’ চরিত্রের অভিনেত্রীর নামে বাজারে ছাড়া পোশাক এবার ঈদে জমজমাট ব্যবসা করে।
“নতুন স্ত্রীর বায়না অনুযায়ী ‘দামী’ এই পোশাক কিনে দিতে না পারায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নন্দতেঘরী গ্রামের শাহীন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীও একই পোশাক না পেয়ে আত্মহত্যা করে।”