ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের একটি সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশিদের ভিসার আবেদনের প্রসেস সম্পন্ন করা হবে না। বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে ভিসা আবেদনকারীদের সব ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে নয়াদিল্লিতে। আর আবেদনকারী ব্যক্তির ভিসা সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে ওখানেই। নতুন এই পদ্ধতি ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানের ন্যায় ভিসা আবেদনকারীর ডকুমেন্ট জমা নেওয়া হবে ঢাকা ও ব্রিটিশ প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেটে। পাসপোর্ট ব্যতিরেকে বাকি সব কাগজ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো হবে দিল্লিতে। তা একজন ভিসা আবেদনকারীর জন্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ব্রিটিশ হাইকমিশন দিল্লিতে থেকে। ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, আমি নিজেই শঙ্কিত সার্ভিস প্রসঙ্গে, কিন্তু আমি আশাবাদী সময় খুব একটা বেশি লাগবে না। বাংলাদেশি পাসপোর্ট কখনও দিল্লিতে পাঠানো হবে না।দিল্লি থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর পাসপোর্টের আনুসাঙ্গিক কাজ ঢাকায় ছোট পরিসরে ব্রিটিশ হাইকমিশনের শাখা অফিসে সম্পন্ন করা হবে। তার মতে ব্রিটিশ সরকারের ব্যয় কমানোর জন্য এ ধরনের উদ্যোগ’।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকা থেকে ৩৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের তথ্য অফিসার নারায়ন চক্রবর্তীর সাথে আলাপকালে তিনি জনবল ছাঁটাইয়ের কথা স্বীকার করেন। তবে হাইকমিশন স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি সু-স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলেন, যখন যা গতি হবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯১ সালে। তারপর থেকে কমিশন, সাধারণের গ্রহণযোগ্য সার্ভিস অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রদান করেছেন। কিন্তু অনেকের ধারণা এই স্থানান্তরের কারণে সর্বক্ষেত্রে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, গভঃ ইউকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে আগামী ১৩ জুলাই থেকে বাংলাদেশ থেকে সব ধরণের পিবিএস ডিপেনডেন্ট ভিসা আবেদনের পর পরবর্তী প্রসেস বাংলাদেশের বাইরে থেকে করা হবে। সুত্র কালের কণ্ঠ।
অনেক সুবিধার একটি লেখা,,,ভাল লাগল!!