তিনি তার বয়ানে বলেন,সত্য কথায় মুক্তি মেলে-যুগ যুগ ধরে প্রচলিত প্রবাদ বাক্যের পেছনে এটিও ছোট্ট একটি ঘটনা। যদিও আজ থেকে চৌদ্দশ’ বছর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন, সত্য মানুষকে পূণ্যের দিকে ধাবমান করে, আর পূণ্য তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। মিথ্যা পাপাচারকে ডেকে আনে আর পাপাচার জাহান্নামে পৌঁছে দেয়। কোনো মানুষ যখন অনবরত মিথ্যা বলে তখন আল্লাহ পাকের কাছে সে মিথ্যাবাদী হিসেবে লিখিত হয়ে যায়।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পবিত্র জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজে সততা বজায় রেখে চলেছেন। এমনকি হাসি-কৌতুকেও তিনি কখনো কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেননি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কোনো অবস্থাতেই মিথ্যা বলেননি। সিরাতের কিতাবসমূহে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যবাদিতার অজস্র বিস্ময়কর ঘটনা আজও আমাদের জন্য সততার অনুপম। হজরত ইয়াকুব আল মাকফুফ বলেছেন, একজন মুখলিস আমলদার মুমিন তার নেক কাজগুলো এমনভাবে গোপন রাখে যেভাবে সে তার কৃত পাপ কাজসমূহ লুকিয়ে রাখে।
বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামীম দারিকে কেউ জিজ্ঞেস করলো, আপনি প্রতি রাতে কতো রাকাত নামাজ আদায় করেন? এমন প্রশ্ন শুনে তিনি খুব রেগে গেলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম, রাতের অন্ধকারে গোপনে এক রাকাত নামাজ পড়া আমার কাছে; এমন সারারাত নামাজের চেয়ে অনেক উত্তম- যা রাত পোহালে মানুষকে জানানো হয়।সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামী অভিবাদন। আল্লাহ তা’য়ালা সর্বপ্রথম আদমকে (আ.) সালামের শিক্ষা দেন। হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তা’য়ালা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন।
পরিশেষে উপস্থিত সকলের প্রশ্নের জবাব দেন হাফেজ মাওলানা আবুল হোসাইন খান এবং বিশ্ব শান্তির কামনায় দোয়া করেন।