ঘটনা ১- সিনতাই কারীরা এখন এক অভিনব পদ্ধতির সৃষ্টি করেছে যা আপনারা শুনলে অনেকেই অভাক হবেন। ছিনতাইকারী এবং সিএনজির ড্রাইভার রা মিলে এক ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা এখন সিএনজির উপরের এবং পাশের কভার টিতে ইচ্ছা করে ও খুব সুন্দর করে গোল করে কেটে সেখানে কষ্টেপ দিয়ে আলতো ভাবে লাগিয়ে রাখে, জাতে করে যাত্রীরা বুঝতে না পারে, যে তারা সিএনজির ভিতরের দরজা লাগিয়ে বসলেও নিরাপদ না!! কেননা ওদের প্লান মোতাবেক সিএনজি ড্রাইভার যাত্রী দের নিয়ে সিগন্যালে থামে আর সেই সুযোগের সদব্যবহার নিয়ে সিএনজির সাথে চুক্তি করা সিনতাই কারিরা সিএনজির বাইরে থেকে টার্গেট করে ভিতরে থাবা মাড়লে কেটে জোরালাগানো সিএনজির কভার ভেদ করে যাত্রীদের মোবাইল বা হ্যান্ডব্যাগ পর্যন্ত তারা পৌঁছে যায়, এবং মুহূর্তের মধ্যে আপনার মোবাইল বা মূল্যবান জিনিষ নিয়ে পালিয়ে যায়। আপনি বুঝে উঠার আগেই তারা উধাও এবং সিএনজি ওয়ালা আপনার সাথে এমন ভাব নিবে যে কিছুই হয় নি এবং সে সিএনজি থামানোর পরিবর্তে সেটি চালিয়ে যাওয়ার ভান করবে , কেননা ওরা একে অপরে মিলেই এই কাজ করছে। কাজেই আপনারা যারা সিএনজিতে চলাচল করেন তারা অবশ্যই একটু সাবধানে চলাচল করবেন এবং ওদের এই অভিনব পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার পরিচিতদের জানিয়ে দিন, যাতে করে আপনার কেউ ওদের ভিকটিম না হয়।
ঘটনা ২- মো আনিসুল হক আমার চাচাত ভাই তিনি উত্তরা হাউস বিল্ডিং থাকেন। কাজ করেন খিলক্ষেত এক প্রাইভেট ফার্ম এ প্রতিদিনের মতই অফিস শেষ করে সন্ধ্যায় তার বাসায় ফিরবেন, তিনি মোবাইলে কাজের প্রয়োজনে অনেক কথা বলায় বেশির ভাগ সময় ব্যাস্ত থাকেন তাই অনেক কাজ ই খুব তাড়াহুরার মাধ্যমে করে থাকেন যাই হোক ওই দিনও সন্ধ্যায় বাসার উদ্দেশ্যে খিলক্ষেত বাসষ্ট্যান্ড এ অপেক্ষা করছিলেন আর মোবাইলে কথা বলতেছিলেন এমন সময় পেছন থেকে এক মাইক্রোবাস এসে কয়েজন লোক বসা আর ড্রাইভার তাকে জিজ্ঞেস করতেছে ভাই হাউজ বিল্ডিং যাবেন এরা সবাই ওই জায়গায় নামবে ওনি মোবাইলে কথা বলতে বলতে অসতর্ক থাকায় এদের গাড়িতে ওঠে পরে এবং তখনও মোবাইলে কথা বলতে থাকে হাউজ বিল্ডিং পার হয়ে গাড়ি ছোটতে থাকলে ওনি ড্রাইবারকে বলতে থাকে এই ড্রাইভার আমি নামবো এখানে থামাও তখনই পাশে থাকা লোকগুলো তাকে অশ্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে এবং তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধকরে দেয়। আর শুরু হয় তাদের তান্ডব- তখন তার পকেট এ থাকা মানি ব্যাগটি নেয় এবং তন্নতন্ন করে খুজে অল্পকিছু টাকা আর তার ব্যাক্তিগত ব্যাংকের একাউন্টের ২টা কার্ড পায়। তারা তখন তার কার্ডগুলোর পাসওয়ার্ড চায়। তিনি পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর শুরু হয় অমানবিক পাশবিক নির্যাতন। তাকে প্রচন্ড মাড়ধর শুরু করে। পরবর্তীতে তিনি বাধ্য হয়ে পাসওয়ার্ড দিলে ছিনতাই কারিরা ব্যাংকের এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলে নেয় এতক্ষন পর্যন্ত তাকে অশ্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে তারা তাকে অজ্ঞান করে টঙ্গী ব্রিজ এর কাছে ফেলে দেয়। ঘটনা তিনদিন পর তার পরিবারের সবাই এক প্রাইভেট হাসপাতালে তার খোজ পায়। সুতরাং আমরা যারা দেশের যে কোন জায়গায় যাতায়ত করি না কেন আমাদের সকলের উচিৎ হবে যে অপরিচিত কোন প্রইভেট কারএ না উঠে প্রয়োজনে বাসে চড়া।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টতি আপনাদের অনেক কাজে আসবে।ধন্যবাদ।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]