মাঈনুল ইসলাম নাসিম : শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেতে যেসব বাংলাদেশী জার্মান সীমান্তে অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস পিঞ্জ। তিনি জানান, “অর্থনৈতিক কারণে যেসব বাংলাদেশী লিবিয়া থেকে জার্মানী সীমান্তে অবস্থান করছেন তাদেরকে আশ্রয় দেবেননা তাঁরা। কেবল রাজনৈতিক শরণার্থী তথা সিরীয়ানদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জার্মানী”। রাষ্ট্রদূত পিঞ্জ তাঁর পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যদিও অযৌক্তিক কথা বলেননি, তথাপি বৃহত্তর স্বার্থে তাঁর বক্তব্য আমলে নেবে না বাংলাদেশ সরকার, এমন আশাবাদ জীবনযুদ্ধে নিয়োজিত ঐ সকল বাংলাদেশীদের।
হাঙ্গেরী সহ বিভিন্ন রুটে এখন রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী, যাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে যে কোন প্রকার নেতিবাচক বা ‘আত্মঘাতী’ মনোভাব আশা করছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, যেসব বাংলাদেশীরা অস্ট্রিয়া বা জার্মানীতে ইতিমধ্যে সুযোগ নিয়েছেন বা নিতে চাইছেন তারাও খুব ভালো করেই জানেন, শেষপর্যন্ত তারা উপরোক্ত কোন দেশেই স্থায়ী আশ্রয় পাবেন না। মূলতঃ তারা দেশ দু’টিকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন বাইরে থেকে মূল ইউরোপে ঢোকার প্রয়োজনে। বেশির ভাগ বাংলাদেশীরই মূল গন্তব্য ইতালী ও পর্তুগাল যেখানে কয়েক বছর পরপর বৈধ হবার সুযোগ আসে।
পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানী ও অস্ট্রিয়াতে গত ২০ বছরে যত বাংলাদেশী পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম সিক করেছে, তাদের শতকরা নব্বই ভাগের হয় কেস টেকেনি বা কিছুদিন টেকার পর গুডবাই জানাতে হয়েছে অস্ট্রিয়া বা জার্মানীকে। ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত যেটাই বলুন না কেন, জার্মানীর ভেতরে বা জার্মান সীমান্তে যে কোন সংখ্যক বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনার আদৌ কোন প্রয়োজনই হবে না বাস্তবতার নিরিখে। অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা। বন-জঙ্গল পাহাড়-পর্বত সাগর-নদী-মরুভূমি পেরিয়ে দেশে দেশে লাখ লাখ টাকা ক্যাশ পেমেন্টের মাধ্যমে ইউরোপের মেইনল্যান্ডে একবার ‘ইন’ করার পর রাস্তাঘাট যে বহুদিকেই খোলা এবং কোন না কোনভাবে যে কোন রুটে চলে যাওয়া যাবে বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে, এটা নবাগত বাংলাদেশীরা খুব ভালো অবগত আছেন।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক হিউম্যান ট্রাফিকিং নেটওয়ার্কে যাদের মাধ্যমে তাঁরা যেহেতু এতটুকু আসতে পেরেছেন, বাকি সামান্য অংশ তথা জার্মানী বা অস্ট্রিয়াতে তাঁদেরকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে দেশত্যাগের নির্দেশ দিলেও তাঁরা প্রয়োজনে পাড়ি দিতে পারবেন যে কোন সুবিধাজনক দেশে অন-পেমেন্ট ঐ একই নেটওয়ার্কেই। যাঁরা অস্ট্রিয়া বা জার্মানীতে ‘ইন’ করতে ব্যর্থ হবেন তাঁরাও যার যার পথ নিজ দায়িত্বেই ধরবেন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ইউরোপের সুবিধাজনক কোন না কোন ডেস্টিনেশনে। সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমনটাই জানা গেছে সুনিশ্চিতভাবে। লাখ লাখ টাকা খরচা করার পর ঘাটে এসে তরী ডুবাতে চান না এমন বাংলাদেশীরা বলছেন, জার্মান রাষ্ট্রদূতের কথা আমলে নেয়ারই কোন প্রয়োজন নেই বাংলাদেশ সরকারের।
যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
Kano jarmany ta Bangladesh. E go bodota day hobana. Bangladesh e manus baser vayg group