যুবরাজ শাহাদাতঃ আমরা বাংলাদেশিরা এমন কোন যায়গা নেই…… যেখানে সুযোগ পেলে আর ছাড়ার চেষ্টা করি না। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না এর বারোটা বাঁজাই!! ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শান্তি হইনা!! নরওয়ে ইমিগ্রেশন বর্তমান সময়ের বাংলাদেশীদের কিছু কর্মকাণ্ডে খুব খেপা অবস্থায় আছে- টা আচ করতে পেড়েছিলাম গত কয়েক মাস যাবত।
সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ বিয়ে নিয়ে নরওয়েতে বাংলাদেশীরা আলোচনায় চলে আসে, সেই সাথে ২০১২, ২০১৩ সালে গ্রীস, ইতালি, স্পেনে কাজ না থাকায় অনেকে এসে নরওয়েতে আসাইলাম সেকার, শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়ার সময় তারা নিজের সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করে এবং নাম ঠিকানা ইত্যাদি পরিবর্তন করে আশ্রয় নেয়। এমন কি তারা এমন তথ্য দিয়েছে যে তারা বিনা পাসপোর্টে ইউরোপে এসেছে।
একটা সময় যখন তাদের অ্যাপলিকেশন বাতিল হয়ে জায় তখন তাদেরকে নিজ ইচ্ছায় দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় না হলে জোর পূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেই সাথে এমনটা অফার করা হয় যে যারা নির্দিষ্ট বেধে দেয়া সম সীমার মধ্যে নরওয়ে থেকে নিজ নিজ দেশে চলে যাবে তাদের কে ২০০০০ ক্রনার দেয়া হবে। এই খবরটি শোনার সাথে সাথে বাঙালিরা লোভ সাম্লাতে না পেরে নিজের পাসপোর্ট সারান্দার করে নিজ নিজ দেশে চলে যায়। এবং এখানে মজার বিষয় যে, তাদের প্রত্যেকের কাছে কোন না কোন দেশের ভ্যালিড পাসপোর্ট সহ ওয়ার্ক পারমিট আছে । কারো কাছে গ্রীস এর ১০ বছরের। কারো কাছে ইতালির ২ বছরের, কারো কাছে স্পেন এর ৫ বছরের পেপারস আছে। নরওয়েতে প্রবাসী বাঙ্গালীদের এই সকল কর্মকাণ্ড UDI +POLITI খুব গুরুত্বপূর্ণতার সাথে নজরদারি করছে!!!! যার ফলে এখন নরওয়েতে বাঙ্গালদেশি কেউ পড়ালেখার জন্য আবেদন করলে সামান্য অজুহাত দেখিয়ে বাতিল করে দেয় আবেদন। এক ভাই স্টুডেন্টস ভিসা আবেদন করেছিল একটু খেয়াল করে দেখুন কি কি কারন দেখিয়ে তাকে refuse করা হয়েছে।