• Mon. Dec ২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

সর্বকালের সেরা নাচ!

Byexperience

Jun 4, 2013

নেচেই দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন ইউক্রেনের একদল নাচিয়ে। শারীরিক কসরত আর ছন্দের অপূর্ব মিশ্রণ ঘটিয়ে জয় করে নিয়েছেন তাবৎ দুনিয়ার কোটি দর্শকের হৃদয়। অবিশ্বাস্য প্রায় তিন মিনিটের এ নাচটিকে বলা হচ্ছে এ যাবৎকালের সেরা নাচ। অনেকেই বলছেন, এটিই যে বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর এবং মনোমুগ্ধকর নৃত্য তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে ভিডিওটি সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত আশিকি-২ সিনেমার গান ব্যবহার হরা হয়েছে। এই গানটিই এখন ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

[youtube lYowvEYrGa8?modestbranding=1&rel=0 nolink]

সম্প্রতি ইউক্রেনের (Ukraine’s Got Talent AMAZING DANCE ! Duo Flame – Je t’aime) একটি অনুষ্ঠানে নাচটি প্রথম প্রচারিত হয়। আর একটি হলরুমে হাজারো দর্শক মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্বাসরুদ্ধকর সেই নাচ উপভোগ করেন। নাঁচটির প্রতিটি মূহুর্তে রোমাঞ্চকর অনূভূতি পাবেন দর্শক। কখনো মনে অজান্তে কেঁপে উঠবেন-এই বুঝি নাচের জুটি পড়ে যাচ্ছেন মঞ্চেই। কিন্তু অবাক করে দিয়ে ঠিকই তারা নিজেদেরকে সামলে নিয়ে নাচ শেষ করেন শিল্পীদ্বয়। রুদ্ধশ্বাস এই নাচ না দেখলে বর্ননায় তা বিশ্বাস করানো কঠিনই বৈকি। চোখ ধাঁধানো এই নাচে অংশ নিয়েছেন খাদেজ খামেদ আউসা এবং ভ্লাদিস্লাভ ইভাসকিন।

খাদেজ খামেদের জন্ম ১৯৯২ সালে ইউক্রেনের কিয়েভে। আউসা মাত্র চার বছর বয়সেই জিমন্যাস্টিক বিষয়ে পাঠ নেন। দশবছর বয়স পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন শারীরিক কসরত সেন্টারগুলোতে শিক্ষানেন। দশ বছর বয়সেই তিনি একজন স্পোর্টস কোচের চোখে পড়েন। পরবর্তি চার বছর আউসা বিভিন্ন শারীরিক কসরতের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ১৪ বছর বয়সে তার মা তাকে স্পেনে নিয়ে যান। কয়েক মাসের মধ্যেই খামেদ স্পেনের একটি শারীরিক কসরত কেন্দ্রে একজন কোচের সাথে পরিচিত হন এবং গোল্ড মেডেল পান। ১৮ বছর বয়সে আউসা আবার ইউক্রেনে এসে ন্যাশনাল অলিম্পিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং একজন জিমন্যাস্ট শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

ইতিহাসের সেরা এই নাচের আরেকজন নাচিয়ে ভ্লাদিস্লাভ ইভাসকিন। তিনিও ইউক্রেনের কিয়েভে ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুস্তিগীর এবং মা পেশাদার জিমন্যাস্ট। সাত বছর বয়সে মায়ের কাছে জিমন্যাস্টের বিভিন্ন বিষয়গুলো হাতেখড়ি নেয় ইভাসকিন। নয় বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো শারীরিক কসরত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মাত্র তের বছর বয়সেই ইউক্রেনের জাতীয় পুরস্কার হিসেবে গোল্ড মেডেল জিতে নেন ইভাসকিন। পরবর্তী পাঁচবছর তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে নিজ দেশ ইউক্রেনকে উপস্থাপন করেছেন। আঠারো বছর বয়সে এক সার্কাসে খেলা দেখানোর সময় তিনি আলোচিত হন। তখনই তিনি নিজেকে জিমন্যাস্ট শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী বছরগুলোতে পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন পারফরম্যান্সে নিজের প্রতিভার কথা জানান দেন এই গুণী শিল্পী। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মন্টে কার্লো ফেস্টিভ্যালেও পারফর্ম করেন এই ইউক্রেনিয়ান।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতেএখানে ক্লিক করুণতুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান ]]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *