কুরআন এ আছে : মানুষ কি ভেবেছে আমি তার অস্থিসমুহ একত্র করতে পারব না? অবশ্যই আমি সক্ষম এমনকি তার আঙ্গুলের আগাকেও পূণরায় সৃষ্টি করতে। আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগের লোকেরা ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পর্কে খুব কম এ জানত। তবে কেন আল্লাহ কোরআন এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর তুলনা দিয়েছেন? আসুন একটু দেখি।
১৮৭৫সালে জেন জিন্সেন নামক এক ইংলিশ বিজ্ঞানি আবিস্কার করেন যে আঙ্গুলের ছাপ একটি অসাধারন বিষয়। এর রেখার ধরন একটি আরেকটির চেয়ে ভিন্ন এবং সম্পূর্ণ আলাদা। এবং আপনি যা কিছু ছোঁবেন তাতেই আপনার আঙ্গুলের ছাপ বসে যাবে, এটা সবার ই জানা কথা তবে ১৪০০বছর আগের লোকেরা এ ব্যাপারে খুব কম এ জানতেন।
এই আঙ্গুলের আগার রেখার গঠন এবং গড়ন মাতৃগর্ভের প্রথম তিন মাসে হয়। এর অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে, একটি হল মানুষের সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এই আঙ্গুলের ছাপে এনকোডেড রয়েছে। সুতরাং আমাদের পুনরুত্থান এর সময় আল্লাহ আমাদের শরীর পুরাপুরি ফিরিয়ে দিবেন এবং আমাদের বিচার করবেন, আর শুধু আঙ্গুলির মাথার ছাপ দিয়েই আমাদের সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জানা সম্ভব। আঙ্গুলের আগা কে এক কথায় ডাটা ব্যাংক বলা জেতে পারে। নিশ্চয় ডিএনএ একটি অতি মূল্যবান আবিষ্কার।
এ কথা তাহলে খুবই স্পষ্ট যে আল্লাহর কাছে আমাদের পুনরুত্থান কোন ব্যাপার এ না। কোরআন এ সকল বিজ্ঞানের সমাধান আছে যা আমরা জানি না।ডিএনএ আবিকার হবার পর এই ধারনা বদলে গেছে যে কোষ তার অবস্থিত এলিমেন্ট নিয়ে একটি সাধারন সৃষ্টি নয়। আরও গভির গবেষণায় এর জটিলতা প্রকাশ পেয়েছে। মানুষের একটি ডিএনএ কোটি কোটি কোড সম্বলিত হয়, আমাদের চুলের রঙ থেকে শুরু করে নখ পর্যন্ত সকল তথ্য এই কোড এ থাকে. আঙ্গুলের আগার একটি ডিএনএ এর কোড ছাপালে লক্ষ পৃষ্ঠার হাজার কপি বই হবে। আর আঙ্গুলের আগার একটি ডিএনএ দিয়ে যে কারো সকল তথ্য জানা সম্ভব।