• Sun. Dec ১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি হয় কেন?

ByLesar

Sep 7, 2012

সাধারণত আমরা বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই দেখি ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি, সুরেলা ও চিকন হয়ে থাকে। যা ছেলেদের কণ্ঠে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম শুনি। ছোট ছেলেমেয়েদের গলার স্বরে কোনো তফাত সাধারণত বোঝা যায় না। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে ছেলেদের গলার স্বর ভারি, গম্ভীর হতে থাকে। প্রথমে গলার স্বর ভাঙে, পার আস্তে আস্তে গভীর,

তারপর গম্ভীর হয়ে যায়। মেয়েদের গলার স্বর কিন্তু বে…শি পাল্টায় না। কিন্তু ছেলেদের স্বর পাল্টায় কেন? আমরা স্বরযন্ত্রের সাহায্যে কথা বলি। স্বরযন্ত্রের মধ্যে আছে স্বরপর্দা, এদের কম্পনের ফলে বায়ু তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই বায়ু তরঙ্গই শব্দ বা স্বরের সৃষ্টি করে। কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা, শব্দের এক বিশেষ ধর্মের ওপর নির্ভরশীল, একে বলে তীক্ষ্নতা। তীক্ষ্নতা আবার নির্ভর করে শব্দ কম্পনের ওপর। বয়ঃসন্ধির সময়ে ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন বেরোয় যার নাম অ্যান্ড্রোজন।

সব পুরুষালি বৈশিষ্ট্য যেমন-দাড়ি, গোঁফ গজানো, গলার স্বর ভারি হওয়ার জন্য এই হরমোনই দায়ী। এগ্রোজেন ছেলেদের স্বরযন্ত্রের আয়তন বাড়ায় এবং স্বরপর্দাকে অনেক পুরো আর দীর্ঘ করে। ফলে তাদের কম্পাঙ্ক অনেক কম হয়। ছেলেদের স্বাভাবিক কথাবার্তার সময়ে কম্পাঙ্ক সেকেন্ডে ১২০ বার যেখানে মেয়েদের কম্পাঙ্কের সংখ্যা ২৫০।

তাই মেয়েদের গলার স্বরের তীক্ষ্নতা বেশি। অ্যান্ড্রোজেনের প্রভাবেই ছেলেদের গলার স্বর গভীর এবং গম্ভীর শোনায়। মেয়েদের দেহে এই হরমোনের প্রভাব অনেক কম থাকায় তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন পাল্টায় না। আর কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয় বলে তাদের গলা মিষ্টি শোনায়।

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *