টাঙ্গাইলের ভাওয়াল মধুপুরের স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের ফাঁসি চেয়ে ইতালির রোমে তরপিনারতারা এলাকায় বাংলাদেশ মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতির সদস্যগন ও ইতালি প্রবাসী গৃহবধূদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এক প্রতিবাদ সভা। সাভায় ইতালির বিশিষ্ট বেক্তিগন বক্তিতা দেন। সভায় তারা এই ধর্ষনের তিব্র নিন্দা জানিয়ে ধর্ষনকারীদের ফাঁসি চেয়ে প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার বিস্তারিতঃ
৩১ ডিসেম্বর ২০১২ > টাঙ্গাইলে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করে রেললাইনের উপর তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।রফিকুল আলম জানান, বিথি নামের এক বান্ধবী অপর এক বান্ধবীর বিয়ের কথা বলে ৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার গালা গ্রাম থেকে বোনকে মধুপুরে নিয়ে যায়। মধুপুরে পৌর এলাকায় অবস্থিত সুপ্তি কম্পিউটারের দোকানে আগে থেকেই ৩/৪ জন অবস্থান করছিল। পরে তাকে পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। রাতে বান্ধবী পাশের রুমে অবস্থান নেয়। এসময় ৩/৪জন ছেলে হঠাৎ তাকে জোরপূর্বক একটি রুমে নিয়ে গেলে সে ডাক-চিৎকার করতে থাকে। এরপর তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এভাবে তিনদিন তাকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর রেললাইনের উপর তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় রেললাইন থেকে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই মেয়েটি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। মানুষ দেখলেই সে ভয়ে মুখ লুকায়। শারীরিক ও মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক জাকিয়া রশিদ জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন হওয়ায় সে মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিবি) হুমায়ুন কবির আকন্দ জানান, ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষিতার বান্ধবী সদর উপজেলার পৌলী গ্রামের বীথী আক্তার, মধুপুরের হারুন, নুরুজ্জামান ওরফে গ্যাদা ভাই, মনিরুজ্জামান মনির ও শাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]