• u. Dec ৫, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

সাবধান!!সাবধান!! প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে অভিনব প্রতারণা

Byadilzaman

Dec 24, 2012

Rome-Corporation

প্রবাসে যারা অবৈধভাবে বসবাস করেন তারাই টার্গেট। দেশে প্লট-ফ্ল্যাট দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অর্থ। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে ঢাকা ও বিদেশে দেখানো হয় একাধিক শাখা অফিস। প্লট-ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের নামে এভাবে গ্রাহকদের প্রতারণা করে চলা প্রতিষ্ঠানটির নাম রোম করপোরেশন। রাজধানীর সিটি হার্ট সেন্টারের ১২ তলায় রয়েছে তাদের একটি অফিস। এটিকেই প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি ইতালির রোম ও ফেমি, আরব আমিরাতের দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডেও দেখানো হয় একাধিক আঞ্চলিক কার্যালয়। রোম করপোরেশনে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী এএম আহসান খান অভিযোগ করে বলেন, আমি রোম করপোরেশনে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। তারপরও এখন পর্যন্ত কোন জমি পাইনি আমি। টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। টাকা চাইলে বলা হচ্ছে- আপনি টাকা দিয়েছেন, তার প্রমাণ কী? ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের রিমিনিতে বসবাসকারী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়েছি। দু’টি ফ্ল্যাটের আশায় ১০ বছরের আয়ের সবটাই রোম করপোরেশনকে দিই। তবে তিন বছর চলে গেলেও প্লট-ফ্ল্যাট বা টাকা কোনটাই ফেরত পাইনি। এমডি হারুনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি শুধু ঘোরাচ্ছেন। দুবাই প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি রোম করপোরেশনে বিনিয়োগ করে এখন নিঃস্ব। দেলোয়ার বলেন, আমার কাছে তেমন কোন কাগজপত্র নেই। রোম করপোরেশনের ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, এমডি হারুনের সঙ্গে কথা বলেন। হারুন-অর রশিদের কাছে যাওয়ার পর বলেন, আপনার টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে কোন ফ্ল্যাট দিতে পারবো না। কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত পাইনি। জানা যায়, ইতালি প্রবাসী ৭ ও বাংলাদেশের একজন পরিচালক নিয়ে ২০০৮ সালে রোম করপোরেশন (প্রা.) লি.- এর যাত্রা শুরু হয়। নিবন্ধিত কোম্পানি হিসেবে পরিশোধিত মূলধন ছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে হারুন-অর রশিদ নিজেই আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিতে চাকি হার্ট, তিরমানি হালাল ফুড, ভিশন এসআরএল, রোম পয়েন্ট, ফাতা এসএএস, ফুড পয়েন্ট ও বাগদাদ ফোন সেন্টার। এছাড়া, বাংলাদেশেও নামসর্বস্ব অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এগুলো হচ্ছে মিডিয়া রোম লি., রোম লিভিং লি., রোম ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রোম প্রাইম ফুড, নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল লি. ও রোম করপোরেশন ট্রাস্ট। প্রতারণার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতালিতে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশী জানান, রোম করপোরেশনে বিনিয়োগ করা অনেকেরই ইতালিতে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র নেই। ফলে তারা সেদেশে কোন আইনি সহায়তা নিতে পারেন না। এ সুযোগ নিয়ে হারুন ও তার সহযোগীরা সহজে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

নিচের ভিডিওটি দেখে এদের সম্পর্কে  আরো বিস্তারিত যেনে রাখুন।

[youtube c7pd5ProUwo?modestbranding=1&rel=0 nolink]

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *