• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত যুক্তরাষ্ট্রে! যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি এইচ১বি ভিসায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ByLesar

Aug 2, 2014

যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি এইচ১বি ভিসায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। কাজেই প্রযুক্তি বিষয়ে যারা পড়ালেখা করেছেন এবং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি বড় সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি থেকে ফিরে জানাচ্ছেন মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ
আমাদের দেশের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা আমাদের জন্য যেমন বড় ধরনের একটি সমস্যা, তেমনি এই জনসংখ্যাই আমাদের সম্ভাবনার জায়গা। আমাদের দেশে জনগোষ্ঠীর মধ্যে তরুণদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে জনসংখ্যা বাড়লেও কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে না। ফলে বেকারত্বের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেক তরুণকেই বেকারত্ব বরণ করে নিতে হচ্ছে উচ্চশিক্ষা লাভের পরও। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরেও ভালো চাকরি পায় না অনেকেই। ফলে হতাশ হয়ে যেতে হয়। আবার গত কয়েক বছরে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। অনেক দেশই আবার মন্দার প্রভাবকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সফলভাবে। ফলে সেসব দেশে আবার কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সরকারিভাবে কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ থাকলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এ ধরনের সুযোগ নেই। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেও রয়েছে কাজের সুযোগ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইটি খাতে তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের জন্য কাজের ক্ষেত্র। আমাদের দেশে তাই যারা আইটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ালেখা করছে, তাদের জন্য তাই যুক্তরাষ্ট্রের মতো স্বপ্নের দেশে মিলতে পারে কাজের সুযোগ।

এইচ১বি ভিসায় সুযোগ

বলা যায় এখন গোটা বিশ্বই শাসন করছে প্রযুক্তি খাত। প্রযুক্তির জয়জয়কার চলছে সারা বিশ্বে। একটা সময় পর্যন্ত উন্নত দেশগুলোর মধ্যেই প্রযুক্তি সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন প্রযুক্তি আর নির্দিষ্ট কোনো দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তবে তারপরেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এখনও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে তো যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলাই বাহুল্য। প্রযুক্তি বিশ্বে এখনও নেতৃত্ব দিয়েই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা স্বল্পতা তাদের অগ্রগতিকে অনেকটাই থামিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই অনেকদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি জানিয়ে আসছে সরকারের কাছে, যাতে প্রযুক্তি খাতে বাইরের দেশগুলো থেকে চাকরির জন্য মানুষের অভিবাসন প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। বিশেষ করে তারা এইচ১বি ভিসার আওতায় আরও বেশি মানুষ যাতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারে, সে বিষয়ে দাবি জানায় সরকারের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশগুলোর জন্য খুশির খবর হচ্ছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির মুখে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ১বি ভিসায় বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য সম্মত হয়েছে। উল্লেখ্য, এইচ১বি ভিসা যুক্তরাষ্ট্র সরকারপ্রদত্ত এমন এক ধরনের ভিসা যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাইরের দেশের কর্মীকে নিয়োগের সুযোগ করে দেয়।

আইটি খাতে প্রয়োজন জনবল

গত মে মাসের শেষের দিকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাশ করে এইচ১বি ভিসার বিলটি। এর ফলে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন যুক্তরষ্ট্রের বাইরের দেশগুলো থেকে নিজেদের জন্য জনবল নিয়োগ করার সুযোগ পাবে। ফলে আইটি সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি যাদের রয়েছে, তাদের জন্য এটা বড় একটি সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন আইটি খাতে রয়েছে প্রচুর নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। বড় বড় টেক জায়ান্টগুলোর তুলনায় নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোতেই মূলত বেশি লোকবল প্রয়োজন। আর এরাই সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের জনগোষ্ঠীকে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ১বি ভিসায় লোকবল নিয়োগের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। প্রতি বছরই আমাদের দেশ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা আইটি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থীই ডিগ্রি লাভ করছে। যাদের এই খাতে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন রয়েছে, তাদের জন্য এটি বড় একটি সুযোগ। গত কয়েক বছরে আউটসোর্সিং খাতে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন ভারত, তেমনি এখানটাতেও ভারতই আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারত থেকে আইটিতে প্রতি বছরেই প্রচুর শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। এর বাইরে চীনেও আইটি বিষয়ে প্রচুর শিক্ষার্থী বের হলেও ইংরেজিতে দক্ষতার কারণেই পিছিয়ে রয়েছে চীনারা, আর সেই জায়গাতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভারতের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বেশি। ফলে তারাই একটু বেশি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে এসব ক্ষেত্রে। তবে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইদানিং ইংরেজিতে ভালো অবস্থা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের। সম্প্রতি সিএনবিসি টিভি১৮-এর এক প্রতিবেদন থেকে অবশ্য জানা যায়, গত বছরে এইচ১বি ভিসার জন্য ভারত থেকে আবেদনকৃতদের প্রায় ৬০ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়। ফলে এই ক্ষেত্রে ভারতের প্রাধান্য কিছুটা হলেও কম থাকবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর সেই সুযোগটিই গ্রহণ করতে পারবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

প্রয়োজন আইটি ডিগ্রি

এইচ১বি ভিসায় যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই মূলত নিয়োগ করা হবে, কাজেই আইটি বিষয়ে ভালো একটি ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা আইটি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। আর ডিগ্রির পাশাপাশি কাজ জানতে হবে। অনেক সময় একাডেমিক রেজাল্ট কিছুটা খারাপ হলেও কোনো বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর সাথে সাথে ইংরেজি বিষয়েও ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। নইলে যোগাযোগটা ভালোমতো হবে না।

যেভাবে আবেদন করবেন

এইচ১বি ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে অনলাইনেই। http://www.h1bvisa.org। সাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। এই সাইটেই আবেদন করার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। www.immihelp.com/visas/h1b/h1-visa-faq.html এবং   www.path2usa.com/h1b-visa-guide সাইট থেকেও এইচ১বি ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *