আমাদের প্রাত্যহিক সমস্যায় সমাধান খুজি অনেক কিছুতেই। তাতে কালোজিরা একেবারেই আরাধ্য জিনিস, এর কার্যক্ষমতা এতটাই ব্যাপক যে, যদি মৃত্যু নামে কোন ব্যাপার না থাকতো তাহলে হয়তো বলা যাইতো, অমরত্ব চাইলে কালোজিরার আশ্রয় নাও! কারণ মৃত্যু ব্যতীত কালোজিরাতে কাজ হয় না এমন সমস্যা নাই বললেই চলে। চলুন জেনে নেই কালোজিরার গুনের তালিকা।
আমাদের আধুনিক ডাক্তারিশাস্ত্র আর ধর্মীয় অনুভূতি যাই বলি না কেন কালোজিরা সবখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাই বলা হয়েছে,
“তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সকল রোগের নিরাময় ইহার মধ্যে নিহিত রয়েছে” –মৃত্যু ছাড়া: (সহীহ বুখারী-১০/১২১)
কালোজিরার গুনাগুনঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে।
রক্তের শর্করা কমায়ঃ কালোজিরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিক আয়ত্তে রাখতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনঃ কালোজিরা নিন্ম রক্তচাপকে বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
যৌন ক্ষমতাঃ কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। এবং কালোজিরা সেবনে স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ফলশ্রুতিতে পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
স্মরণ শক্তি উন্নয়নঃ কালোজিরা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তলতে সাহায্য করে।
হাঁপানীঃ কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধনে সহায়তা করে।
চুল পড়া বন্ধ করেঃ কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যাথাঃ কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
মায়ের দুধ বৃদ্ধিঃ কালোজিরা মায়েদের বুকের দুধের প্রবাহ এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিঃ কালোজিরা শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।
দেহের সাধারণ উন্নতিঃ নিয়মিত কালোজিরাসেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।
এছাড়া অরুচি,পেটে ব্যথা,ডায়রিয়া,আমাশয়,জন্ডিস,জ্বর,শরীর ব্যথা,গলা ও দাতে ব্যথা,পুরাতন মাথা ব্যথা,মাইগ্রেন,চুলপড়া,খোসপঁচড়া,শ্বেতি,দাদ,একজিমা,সর্দি,কাশি,হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
এটি মূত্র বর্ধক ও উচ্চরক্তচাপ হ্রাসকারক,গ্যসট্রিক আলসার প্রতিরোধক,ভাইরাস প্রতিরোধক,টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক,ব্যকটেরিয়া এবং কৃমিনাষক,রক্তের স্বাবাবিকতা রক্ষাকারক,যকৃতের বিষক্রিয়া নাষক,এলার্জি প্রতিরোধক,বাতব্যথা নাশক।
কালোজিরায় যে রাসায়নিক উপাদানগুলো আছে:
অনুদ্বায়ি তেল:
লিনোলিক,অলিক,স্টিয়ারিক,লিনোলিনিক এসিড।
প্রোটিন,নিজেলোন,গ্লুটামিক এসিড
এছাড়াও রয়েছে
নিজেলিন,পটাসিয়াম,ফসফরাস,কেলসিয়াম,সোডিয়াম,মেগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,
কপার,আয়রন,জিংক।
ব্যবহার:
১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
সূত্রঃ
ডা. মো.আবদুল হাই রাহাত
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]