অবৈধভাবে প্রবেশের সময় গ্রীসের সমুদ্রসীমায় নৌকা ডুবির ঘটনায় ২২ জনের সলিল সমাধি হয়েছে। এ ছাড়া আরো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এর বরাত দিয়ে বাংলানিউজ এ খবর দিয়েছে।[sociallocker id=”13828″]
নিহতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে।গত ৫ই মে গ্রীসের পূর্ব এজিন সাগরে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।তুরস্কের উপকূলের কাছাকাছি সামোস দ্বীপের কাছে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। তবে অতিরক্তি বোঝাইয়ের কারণে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে গ্রীক কোস্টগার্ড জানায়, নৌকাডুবির পর মোট ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক পুরুষ ও এক শিশুকে হেলিকপ্টারে করে গ্রীসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা প্রথমে দুই নারী, এক শিশু এবং পরে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।তবে এই অভিবাসীদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, উদ্ধার হওয়া এক অভিবাসী কোস্টগার্ডদের জানান, ৩০ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট চওড়া ডিঙিতে ৬০ থেকে ৬৫ জন লোক ছিলেন। তারা তুরস্ক থেকে ডিঙিতে করে গ্রীসে আসছিলেন।এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের মুখপাত্র নিকোস লাগাডিয়ানোস একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা তাদের জানা নেই।
অপরদিকে, কোস্টগার্ডের জাহাজ, মাছধরার নৌকা, উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার জীবিত ও নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও সকাল থেকে একটি বহির্গামী জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা সত্ত্বেও গত চার বছর ধরে এশিয়া ও আফিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং গরিব রাষ্ট্র থেকে ভাগ্যান্বেষণে অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান।তুরস্ক থেকে অভিবাসীরা সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এ বছরের প্রথম দিকে একইভাবে নৌকাডুবিতে ২১ জনের সলিল সমাধি হয়েছিল। [/sociallocker]