জাহাঙ্গীর আলম সিকদারঃ ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ আমার বসন্ত। হলুদ শাড়ি পরে বাঙালীর ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিল বাঙালী রমণীরা বাংলা তারিখ চৈত্র মাস, দু্ই , চৌদ্দশ কুড়ি।এমনি এক আনন্দ ঘন ঘরোয়া পরিবেশে বসন্ত উৎসবে মুখরিত হল ইটালির বোলজানো শহরে। বোলজানোর বাংলা স্কুলের শিক্ষক ও সোনামণিদের নিয়ে বসন্তের পিঠা খাওয়ার মজা সে এক অন্য রকমের স্বাদ। যেন দেশের ধুম ধাম আতিথিওতার শীর্ষে । যেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার স্মরণ ও নিমন্ত্রণও করে দিলো প্রবাসীদের। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়!
আর কেনইবা দিবে না! দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে বাংলা ভাষার শ্রীতি চারণ।তৎকালীন মোগল সম্রাট আকবরের আমল ১৫৫৬ থেকে। বাংলা সনের প্রবর্তক হিসাবে পণ্ডিত আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজির নাম উল্লেখ যোগ্য । কারন পণ্ডিত ফতেহ উল্লাহ সিরাজি ছিলেন প্রজাদের থেকে জমির খাজনা নেবার সুবিধার জন্য ফসলের মৌসুমে ইংরেজি সন কে বাংলায় গননা করা হইত। যদিও হাজার হাজার বছরের ইতিহাস বাংলা ভাষার তাই ফসল উঠার এই আনন্দ এবং ফুলে ফলে ভরে উঠার আনন্দকেই বসন্তের উৎসব ধরা হয়।অথচ পাকিস্তানী বর্তমান এই মাথা ফুলার জাত তৎকালীন বাংলাভাষাকে অবহেলিত করে উর্দু কে প্রাধান্য দিয়েছিল। পৃথিবীতে প্রায় ছয় হাজার ভাষার তিন হাজারের বেশি বিলুপ্ত আজ অথচ বাংলাভাষায় আমরা ছয় নম্বরে আছি ।বাংলা ভাষার অবদানের জন্য ডক্টর সহিদ উল্লাহর ও কম নয়। বর্তমান বাংলা একাডেমী থেকে বই মেলায় সোয়া লক্ষ শব্দের সংযোজনে বাংলা অভিধান বের হয়েছে। তাইতো যাতে ভুলে না যাই বাংলার ঐতিহ্য ও বাংলা ভাষা সে শিক্ষাও বোলজানোর ছোট ছোট সোনা মনিদের শিক্ষা দিতেছেন বাংলা স্কুলের শিক্ষকগন।আর কিছু টা সময় বসন্তের আনন্দে ভরে দিয়েছিল বাংলাদেশ সমিতির সহযোগিতা ও বাংলা স্কুলের অভিভাবকদের পিঠা আনার আয়োজন ও সার্বিক সহযোগিতাও তাদের পরিবারের। কৃতজ্ঞতায় ছিলাম সবাই যেন হরেক রকম সাজানো পিঠার আলিঙ্গনে।এক সোতোয় গাঁথা বাঙালীর জীবন যেন ১৪২০ এসেও ভুলিনি ঝরা বসন্তকে পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাই না কেন।
বসন্ত উৎসবের এই আনন্দে বক্তৃতায়র ছিলেন মির্জা লতিফুল হক , জয়নাল আবেদিন , জাহাঙ্গীর আলম সিকদার , নিপ্পন , মিসেস মায়া , এবং আরও অনেকেই।