• u. Dec ১২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

লে ইয়েনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, কর্মবিমূখ ইতালির সরকারি চাকুরেরা

ByLesar

Mar 2, 2014

আমাদের দেশের কথা না হয় মানা যায়- কিন্তু ইতালি!! ইউরোপের উন্নত দেশের মধ্যে একটি দেশ। যার সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশ থেকে কতো কিছুই না চিন্তা ভাবনা করে থাকি। আমাদের মনে আসতেই পারে যে, ইতালির সরকারি অফিস আলাদত এবং প্রশাসন গুলোয় কর্মরত কর্মীরা হয়তো আমাদের দেশ থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে আসলেই কি কথাটা ঠিক? আমাদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন ধরে ইতালি বসবাস করছেন তাদের অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন যে, ইতালির বেশির ভাগ সরকারি অফিসেই নানা ধরণের অনিয়ম, কাজের বিড়ম্বনা, ১০ জন কর্মীর মধ্যে মাত্র ৩ জন কাজ করাসহ আরো অনেক কিছুই লক্ষ্য করা যায়। তবে এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি হচ্ছে ইতালির কমুনে (COMUNE) মানে যেখানে প্রতিটি মানুষের প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করানো হয়ে থাকে। যেমন ডকুমেন্ট জাতীও, বাসা সম্পর্কিত যেকোনো কাজ। এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই কিন্তু এই কমুনের আন্ডারে পড়ে। এবং আমাদের সবাইকেই এখানে যেতে হয় এই কাজ গুলো করার জন্য। আর এই কমুনেতে আপনারা যারাই গিয়েছেন তাদের অনেকেই দেখেছেন যে সেখানে নরমাল একটি কাজ করাতে হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দারিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন এর পিছনের কারন কি হতে পারে? সেই অজানা কারন গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছে ইতালির নাম করা একটি টিভি প্রোগ্রাম লে ইয়েনে(Le Iene)। যার প্রধান কাজ হচ্ছে ঘুরে ঘুরে এরকম সব অপকর্ম গুলো লুকিয়ে ভিডিওতে ধারণ করা এবং সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং সুযোগ বুঝে এর প্রতিবাদ করা। লে ইয়েনে এবার ইতালির সরকারি অফিস এই কমুনেতে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে একটি অসাধারন ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে। যেখানে লুকানো ভিডিও ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে যে, কমুনেতে কর্মরত কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে এসে উপস্থিত হওয়ার মেশিনে কার্ড পাঞ্চ করে কাজ শুরু করছে না। কেউ কেউ যাচ্ছে মার্কেটিং করতে। কেউ যাচ্ছে মনের আনন্দে নাস্তা খেতে। আবার কেউ কেউ তার গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে অজানা গন্তব্বে। আর এজন্যই সেখানে কাজের কর্মীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম দেখা মেলে এবং ভোগান্তিতে পড়ে সাধারন জনগন।

মজার ব্যপার হচ্ছে এই টিম এর অনুসন্ধানে এরকমও কিছু তথ্য পাওয়া যায় যে এই অফিসে কর্মরত এক কর্মী প্রায় ৩ বছর যাবত শুধু একটি টেবিলে বসে বসে কাটিয়ে যাচ্ছেন। সে কাজ করতে ইচ্ছুক কিন্তু তাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সে কাজ না করেই প্রতি মাসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি সৎ ছিলেন বলে নিজে থেকেই এই সত্য তুলে ধরেছেন। এরকম আরো অনেক মজার মজার তথ্য বের হয়ে এসেছে এই অনুসন্ধান প্রতিবেদনে। তাই বন্ধুরা আপনারা ইতালিতে থাকবেন অথচ ইতালির বাস্তব পলিটিক্স সম্পর্কে জানবেন না, তা হতে পারে না!

আমাদের সাথে থাকুন এবং ইতালিকে ভালো করে জানুন। নিচের ভিডিওটি দেখুন এবং বাস্তবতা বুঝুন। এই ভিডিওতে দেখতে পাবেন কিভাবে ওরা অনিয়ম করে এবং কাজে ফাঁকি দেয়।

[youtube nYdD7AlG_gg?modestbranding=1&rel=0 nolink]

মজার ব্যপার হলো, লে ইয়েনে টিম এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের কথা যখন রোমের বর্তমান মেয়রের কাছে তুলে ধরে এবং মেয়রের কাছে প্রতিকার জানতে চায় তখন মেয়র শুধু মুখস্ত করা একটি কথাই বলেন- তার মুখ থেকে অন্য কোন কথা বের হয় না। তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে কিন্তু তিনি তার কথায় অটুট থেকেছেন। মেয়রের সেই বিখ্যাত কথা হলো- আগে আমাকে ভিডিওটি দাও তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে! নিচে মেয়রের সেই ভিডিওটি তুলে দেয়া হোল। দেখুন এবং আমাদের দেশের রাজনীতিকদের সাথে মিলিয়ে নিন।

[youtube PZBOWr13JhA?modestbranding=1&rel=0 nolink]

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *