• u. Dec ১২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

চাকুরী নিয়ে বিদেশ গমন করতে ইচ্ছুকদের জন্য জনশক্তি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত তথ্য গুলো রয়েছে এখানে।

ByLesar

Jan 25, 2014

প্রিয় আমিওপারি পাঠক বৃন্দ সবাই আমাদের সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহন করবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। আমিওপারি প্রতিনিয়ত আপনাদের একটার পর একটা চমক দিয়ে যাচ্ছে যা প্রবাসের মাটিতে আদৌ কেউ আপনাদের জন্য এরকম কিছু করতে পারেনি বা দিতে পারেনি। তবে আমাদের এরকম কাজে অনুপ্রাণিত করে আমাদের প্রতি আপনাদের অপ্রাণ ভালোবাসা ও আমাদের সাথে থেকে আমাদের উৎসাহিত করা। যাই হোক আজকে আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরবো যারা চাকুরী নিয়ে বিদেশ গমন করতে চান তাদের নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

জনশক্তি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০০ এর অধিক লোক বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাকুরীর ছাড়পত্র পেয়ে থাকে। পরবর্তীতে এদের অনেকেই বিত্তশালী হয়ে দেশে ফেরে, আবার অনেকেই ফেরে নিঃস্ব হয়ে। বিদেশে চাকুরী করে অধিক টাকা রোজগারের মোহে অনেক বাংলাদেশীই নিয়ম কানুন না জেনে ভূয়া রিক্রুটিং এজেন্টের হাতে টাকা দিয়ে কিংবা দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে যান। তাই যারা চাকুরী নিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তারা বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যদি সংশ্লিষ্ট নিয়ম কানুনগুলো ভালোভাবে জনে নেন তাহলে তাদেরকে অবাঞ্চিত কোন বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয় না। একজন বিদেশগামী চাকুরীপ্রার্থীর যেসব বিষয় খুব ভালোভাবে জানা থাকা প্রয়োজন সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল:

নিয়োগ পত্র ও বহির্গমন (Letter oof Employment and Immigration Clearance):
একজন কর্মী কোন রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে অবশ্যই উক্ত রিক্রুটিং এজেন্সী উল্লেখিত নিয়োগের জন্য সরকারের জনশক্তি ব্যুরো থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছে কিনা তা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
রিক্রুটিং এজেন্সীর কাছে সংশ্লিষ্ট দেশে কর্মী পাঠানোর বৈধ ভিসা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে যাত্রার পূর্বে দেখতে হবে জনশক্তি ব্যুরো থেকে পাসপোর্ট ছাড়পত্র নম্বরসহ জনশক্তি ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও এমবোস (Embossed) করা বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে কিনা।
এসব ব্যাপারে আপনার মনে কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে আপনি সরাসরি জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ৮৯/২, কাকরাইল (ফোন: ৯৩৫৭৯৭২) এই ঠিকানায় যোগাযোগ করে কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিতে পারেন।

বেতন, শর্তাদি ও চুক্তি (salary, Terms and Conditions):
যে পদের জন্য প্রার্থী আবেদন করেছেন তার বেতন ও অন্যান্য শর্তাদি গ্রহণযোগ্য কিনা তা পূর্বেই ভালোভাবে যাচাই করতে হবে।
কোন অবস্থাতেই রিক্রুটিং এজেন্টের কাছে কোন অগ্রীম অর্থ প্রদান করা যাবে না। বিনা রশিদে কোন অবস্থাতেই কোন টাকা-পয়সা লেনদেন করা যাবে না। কর্মীরা নির্বাচিত হওয়ার পর অবশ্যই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন। কোন অবস্থাতেই চুক্তিপত্র না পেয়ে এবং চাকুরীর শর্তাদি না জেনে বিদেশ গমন করা ঠিক হবে না।
বিদেশে চাকুরীর জন্য টিকেটের খরচসহ কোন অবস্থাতেই ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এর বেশী প্রদান করা যাবে না।
চুক্তিপত্রের ১ টি কপি নিরাপদে বাড়ীতে রেখে যাবেন।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Medical Report):
বিদেশ গমনের পূর্বে উক্ত দেশের দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত ক্লিনিকের মাধ্যমে মেডিক্যাল চেক আপ করতে হবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট অবশ্যই ভিসার আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

ব্রিফিং (Briefing):
বিদেশ গমনের পূর্বে “ওয়েজ আনার্স কল্যাণ তহবিল” পরিচালিত ব্রিফিং সেন্টার হতে ব্রিফিং এ অংশগ্রহণ করবেন এবং এ সংক্রান্ত পুস্তিকা সংগ্রহ করবেন।এজেন্টের কাছ থেকে বিদেশ গমনের জন্য বিমান বন্দরে দেয় নির্ধারিত ফিস, পাসপোর্ট, ভিসা, জনশক্তি রপ্তানী ব্যুরোর ছাড়পত্র এবং আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কাগজপত্র বুঝে নিবেন এবং যে দেশে যাবেন সে দেশের নিয়মাবলী, শ্রম আইন ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে যে কাজ করতে হবে সে সম্মন্ধে ধারণা গ্রহণ করতে হবে। আনার্স কল্যাণ তহবিল পরিচালিত ব্রিফিং সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় ব্রিফিং এর ব্যবস্থা করা হয়। উক্ত ব্রিফিং সেন্টার হতে অবশ্যই এজেন্টসহ প্রার্থীদের ব্রিফিং গ্রহণ করতে হবে।

বিদেশে চাকুরীতে যোগদানের রিপোর্ট (Joining Report Of Overseas Employment):
বৈদেশিক চাকুরীতে গমনকারী বিদেশে গিয়েই কাজে যোগদান করার পরে জনশক্তি ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের প্রথম অংশ পূরণ করে এর অপর পৃষ্ঠায় স্ট্যাম্প লাগিয়ে জনশক্তি ব্যুরোর (BMET) নামে ছাপানো ঠিকানায় প্রেরণ করবেন। অতঃপর রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ২য় অংশ পূরণ করে অপর পৃষ্ঠায় স্ট্যাম্প লাগিয়ে ঐ দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানায় প্রেরণ করবেন। কার্ডের তৃতীয় অংশ যত্নসহকারে সংগ্রহ করত চাকুরী শেষ করে দেশে ফেরত আসার সময় শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের “ওয়েজ আনাস কল্যাণ ডেস্ক” এ জমা দিবেন অথবা জনশক্তি ব্যুরোতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে অথবা কার্ডের অপর পৃষ্ঠায় স্ট্যাম্প লাগিয়ে জনশক্তি ব্যুরোর ঠিকানায় প্রেরণ করবেন।

পরিচয়পত্র (Identity Card):
জনশক্তি ব্যুরো বৈদেশিক চাকুরীতে গমণকারী সকলকে পরিচয়ত্র সরবরাহ করে। একজন কর্মী অবশ্যই চাকুরী নিয়ে বিদেশ যাবার পূর্বে জনশক্তি ব্যুরোর সদরদপ্তর অথবা ব্রিফিং সেন্টার থেকে এই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করবেন। এই পরিচয় পত্রটি বিমানবন্ধরে “ওয়েজ আনার্স কল্যাণ ডেস্ক” ইমিগ্রেশণ অথবা বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রদর্শন করলে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যাবে।

আইনগত সহায়তা (Legal Assistance):
একজন বিদেশগামী কর্মীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা যেদেশে যাচ্ছেন সেখানে সেদেশের নিয়মাকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। কোন অবস্থাতে ধর্মঘট বা এ জাতীয় কর্মসূচীতে যোগ দেয়া যাবে না। যদি কর্মক্ষেত্রে তারা কোন বৈষম্যের শিকার হন তবে সে দেশের নিয়মানুযায়ী শ্রম আদালতের (Labour Court) শরনাপন্ন হতে পারেন। মনে রাখতে হবে কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সহায্যের জন্য সেদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে অথবা জনশক্তি ব্যুরোতে যোগাযোগ করতে হবে।

দেশে টাকা প্রেরণ (Remittance):

বিদেশগামী কর্মীরা বিদেশ থেকে টাকা প্রেরণের নিমিত্তে বিদেশ যাত্রাকালে এফ.সি একাউন্ট খুলবেন। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কর্মরত দেশে বাংলাদেশের কোন ব্যাংক থাকলে সেখানে যোগাযোগ করে টাকা পাঠানো সহজ হবে। এছাড়া বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ড্রাফট করেও টাকা পাঠানো যেতে পারে। তাছাড়াও কোন ব্যাংকে এস.সি একাউন্টে ডলার প্রেরণ করা যেতে পারে এবং ওয়েজ আনার্স হিসাব এ পদ্ধতিতে বেশ কিছু সরকারী সুবিধাও পাওয়া যায়। কখনোই হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো উচিত নয় তাতে আপনার টাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং দেশও বৈদেশিত মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।

বিদেশে পাসপোর্ট নবায়ন (Passport Renewal Abroad):

বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফিস দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা থেকে নবায়ন করা যায়। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই নবায়নের উদ্যোগ নেয়া বাঞ্চনীয়।

কখনোই পাসপোর্ট হাতছাড়া করা যাবে না:

বিদেশের মাটিতে যে জিনিসটি কখনোই হাতছাড়া করা যাবে না, সেটি হচ্ছে নিজের পাসপোর্ট। কোন অবস্থাতেই অপরিচিত দালাল বা অন্য কারো কাছে পাসপোর্ট হস্তান্তর করা যাবে না। কর্মীগণ বিদেশে যে কোম্পানীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাবেন সেখানে পুরোপুরিভাবে স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট এবং টিকেট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দেওয়া যাবে না।

চাকুরী পাল্টানো (Change of Job):

সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের মধ্যে চাকুরী পাল্টানোর অশুভ প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিদেশ মূল নিয়োগকর্তা পাল্টিয়ে অন্য নিয়োগকর্তার অধীনে চাকুরী পাওয়া প্রায় অসম্ভব। দালালেরা লোভ দেখিয়ে অন্য কোম্পানীতে ভালো চাকুরী দেয়ার নামে কর্মীদের বিভ্রান্ত করে। যেহেতু দালালদের পক্ষে নতুন চাকুরী যোগাড় শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয় না। তখন বৈধভাবে গমনকারী শ্রমিকরাও শেষ পর্যন্ত অবৈধ হয়ে পড়ে।

এছাড়া বিদেশে চাকুরীরত কর্মীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অনিরাপদ যৌনকর্ম থেকে বিরত থাকা, নারী ঘটিত কোন ব্যাপারে না জড়ানো এবং যে কোন প্রকার অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হবে।একজন চাকুরীজীবি যখন বিদেশে চাকুরী নিয়ে যাবেন তখন উপরোক্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জেনে যেতে হবে। এই বিষয়ে জনশক্তি ব্যুরো যে কোন তথ্য দিয়ে আপনাকে সহায়তা করবে। এই তথ্যগুলো ভালোভাবে জানা থাকলে বিদেশের মাটিতে কাউকে বিপদে পড়তে হবে না বা নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরতে হবে না। আশা করি তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং  তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *