• u. Dec ৫, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

তাহমিনা ইয়াসমিন শশী,ইতালির ভেনিস প্রবাসী- ফর্সা ত্বকই সুন্দর ত্বক নয়

Bytahmina yasmin shoshi

Dec 20, 2013

প্রিয় আমিওপারি পাঠক বৃন্দ সবাইকে জানাই আমার সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।বিশ্বায়নের যুগে পরিবর্তিত হচ্ছে সব কিছু। চাহিদা আর প্রয়োজনীয়তার কারনে নতুন্ত্ব আসছে সর্বক্ষেত্রে। যুগের ও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুনের উদ্ভাবন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জেনে ভালো লাগছে এই নিত্য নতুনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের তরুণরাও সচেতন হয়ে উঠছে। রুচিশীল আধুনিকতায় তারা বেশ সচেতন। বিশেষ করে ত্বক, চুল, নখ, ও সুসাস্থের প্রতি বর্তমানের তরুণদের মনোযোগ উল্লেখ করার মতো।

এই নতুনত্ব আমাদের কি দিচ্ছে? সব নতুনত্বই কি আমাদের জন্য কল্যানকর? আধুনিক প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে যত প্রসাধণী আমরা বাজারে পাই তার সব কি স্বাস্থ্য সম্মত? রং ফর্সা করার ক্রিমের কথাই ধরা যাক। একটা ক্রিম কি করে ত্বককে ফর্সা করে? কি আছে ঐ ক্রিমে? যা ৩ সপ্তাহে ত¦ককে করবে ফর্সা? ক্রিম কি জাদুর মলম যে ত্বকে ছোঁয়ালেই বাজিমাৎ! এ সব প্রশ্নের উত্তর খুজতে হলে আগে জানতে হবে ত¦ক কি? কোনও বিজ্ঞাপনী ভাষায় নয়, জানতে হবে বিজ্ঞান কি বলে?
আামাদের এই ব্যস্তময় জীবনে আমরা একেবারেই ভুলে যাই প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য আর সঠিক প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহার। আমরা না জেনে প্রতিনিয়ত গ্রহণ করি বিভিন্ন রাসায়নিক যুক্ত খাবার এবং ব্যবহার করি রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী। যা ত্বক কে ফর্সা সুন্দর নয়, বরং মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। প্রাথমিক ভাবে বোঝা না গেলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্ষতিকর দিক গুলো প্রকট হয়ে ওঠে। অনেকেই মনে করেন ফর্সা ত্বক মানেই বুঝি সুন্দর ত্বক। আসলে কি তাই? বিজ্ঞান কি তা বলে? কালো ত্বক, বাদামি ত্বক কিংবা ফর্সা ত্বক- এটা মূল বিষয় নয়। আসল কথা হলো সুস্থ ত্বক। সুতরাং মনে রাখতে হবে (পুরুষ মহিলা উভয়ই) পরিষ্কার, সজীব ও সতেজ ত্বকই হলো কোমণীয় ও লাবণ্যময়ী ত্বক। বিজ্ঞাপনের রং-ঢং দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
অনেকেই জানেন না ত্বক কি? কিভাবে গঠিত হয়েছে? মানব শরীর মোট ১৬% ত্বক দিয়ে আবৃত। যার আয়তন প্রায় ১.৮ মিটার স্কয়ার। আমাদের ত্বকের টিস্যু ৩ ভাগে বিভক্ত।

১. এপিডেরমিস।

২. ডেরমিস (কল্লাজেন এলাসটিন ফাইবার)

৩. হিপোডেরমিস (যা খালি চোখে দেখা যায় না)

এপিডেরমিস আমাদের ত্বকের উপরের অংশ, যা আমাদের ত্বককে প্রতিরক্ষা করতে সাহায্য করে। এপিডেরমিসের ২টি সেল আছে। ১.ক্যারাটিন (আমাদের ত্বককে মজবুত রাখতে সাহায্য করে) ২.ম্যালানিন (আমাদের পিগমেন্ট বা রং তৈরী করতে সাহায্য করে)।
এবার একটু ভাবুন, সামান্য ক্রিম ব্যবহার করে কি ত¦কের ভেতরের সেল বদলানো সম্ভব? অতিব্যবাসয়ীদের বিজ্ঞাপনী ভাষায় হয়তো বলা হবে ‘হ্যা’ কিন্তু বিজ্ঞান বলে ‘না’ ত্বকের গঠণ প্রণালী বলে না। আপনাদের মনে থাকার কথা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের কথা। ফর্সা হওয়ার জন্য তিনি তার ত্বকের ম্যালানিন সেল ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলেছিলেন। ফলে তার বিহ্যিক রং বদল হয়েছিল ঠিক। কিন্তু আজীবন ভুগতে হয়েছিল জটিল ত্বক সমস্যায়।
অযথা কালো ত্বক বা ফর্সা ত্বকের তর্কে তাড়িত না হয়ে আসুন কিছু টিপস জেনে নেয়া যাক, ত্বককে কিভাবে সুস্থ এবং সুন্দর রাখা যায়।
১. মুখে সব সময় সাবান মাখবেন না। সাবানে এসিডিটির পরিমাণ বেশী থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কারন আমাদের ত¦কের পি, এইচ ৫.৫।
২. স্টেনলেস স্টিলের পাত্রে এক কাপ পানিতে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। ছেকে, ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিবার মুখ ধোওয়ার সময় ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের ্একটা আদর্শ অ্যাস্টিনজেন্ট।
৩. রোদে বের হলে সানপ্রটেক্ট ব্যবহার করুন।
ত্বক চর্চার পাশাপাশি খাদ্য তালিকাতেও তাজা ফল ও সবুজ শাকসবজী রাখুন। ত্বক সজীব রাখতে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া আবশ্যক (মিনিমাম ২ লিটার ) পানি আমাদের শরীরের টকসিন দুর করতে সাহায্য করে। ফ্যাটযুক্ত এবং ভাজা পোড়া খাবার থেকে নিজেকে দুরে রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সম্ভব না হলে অন্তত কিছুক্ষন হাটাহাটি করুন। প্রণালী বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার করুন। মনে রাখা ভালো খাবারে যেমন রাশায়নিক বিষ মেশান হয় তেমনি প্রসাধনীতেও নানা রকমের রাশায়নিক পদার্থ মেশান হয়। যেমন পেট্রোল। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন, বাজারের বিক্রী হওয়া অনেক ক্রিম জাতীয় প্রসাধনীতে মেশান হয় ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পেট্রোল। যা আমাদের সেলকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। আমরা যেমন করে নিশ্বাস নেই ঠিক তেমনি ত্বকেরও নিঃশ্বাস নেয়া জরুরী। পেট্রোল জাতীয় রাশায়নিক ত্বকে মাখলে ত্বক নিঃশ্বাস নিতে পারেনা। ফলে আমাদের ত্বকে নানাবিধ সমস্যার দেখা দেয়। যেমন- ব্রণ, ত্বকের এলাসটিন ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি।
একটা দুঃখজনক সত্য হলো- কসমেটিকস নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যাথা নেই আমাদের দেশের মিডিয়ার। তারা কি সত্যিই জানে না প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাশায়নিকের ব্যবহারের কথা? না কি জেনেও চুপ থাকে বিজ্ঞাপন হারানোর ভয়ে!বিশ্বের নানা দেশে আছে পাওয়ার আফটার ওপেনিং ফর কসমেটিকস এবং ইঞি। শুধুমাত্র বাংলাদেশে তা নেই। কবে হবে তারও কোনো উত্তর নেই।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং  তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *